English Version
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০১৬ ১০:৩২

বিটিআরআই’র বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্পণ্ণ

রনি
বিটিআরআই’র বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্পণ্ণ

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) ৫১তম বার্ষিক প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এসময় অংশগ্রহণকারী ৪২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেল পাঁচটায় বিটিআরআই’র সেমিনার কক্ষে সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মাইনউদ্দিন আহমেদ।

মাইজদিহি চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষকরা প্রথমে প্রেজেনটেশন পরে প্রাকটিক্যাল ফিল্ড প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আমরা ছয় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আমাদের কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাবো।

বিটিআরআই’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য অনুষ্ঠানে রাখেন। এসময়ে অারও বক্তব্য রাখেন, কোর্স আহ্বায়ক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলতাফ হোসেন, তেলিয়াপাড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সনৎ কুমার দত্ত, মির্জাপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক রায়হান উর রহমান, বৃন্দাবন চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল আজিজ চৌধুরী প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রথম স্থান লাভ করেন নালুয়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সুলতান মো. মনোয়ারুল ইসলাম। ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান হোন পাঁচজন। তারা হলেন- লংলা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক রিপন শেখ, আমু চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. তারিক আজিজ, চান্দপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক তাসফির দাউদ রিমেন, তেড়িয়াপাড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সনৎ কুমার দত্ত এবং বিটিআরআই’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাইম মোস্তফা আলী।

৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান চারজন। তারা হলেন- চান্দপুর চা বাগানের চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক পাভেল রহমান, গাজীপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সোহরাব হোসেন, নেপচুন চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক নাসিম আল মামুন এবং মির্জাপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম জুলকার নাইন।

গত শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এনডিসি-পিএসসি। এতে ডানকান ব্রাদার্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ফিলনে চা, এম এম ইস্পাহানি, ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এটিসি), বিটিআরআই, বাংলাদেশ চা বোর্ড, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) প্রতিনিধি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন কিছু চা বাগানের মোট ৪২ জন সহকারী ব্যবস্থাপক অংশ নেন।