English Version
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৪:১০

শ্রেনী কক্ষে ছাত্র পিটিয়েছে অারেক অভিভাবক

উজ্জ্বল রায়
শ্রেনী কক্ষে ছাত্র পিটিয়েছে অারেক অভিভাবক

নড়াইলে সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির জের ধরে এক ছাত্রীর অভিবাবক অপর এক ছাত্রকে এলোপাতালি মেরে আহত করেছে। অবশ্য আজ মঙ্গলবার এ ঘটনার ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তদন্ত জমা হবে।

১০ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয়ের স্কুল চলাকালীন সময়ে শ্রেণী কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের এখনও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়া সুলতানা একই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল মোল্যা বিরুদ্ধে তাকে ( মারিয়াকে) মারার অভিযোগ করে। মারিয়া বাড়িতে যেয়ে তাকে মারার কথা বললে পরের দিন মারিয়ার পিতা সুজন বিশ্বাস বিদ্যালয়ে এসে ছাত্র ইসমাইল মোল্যাকে শ্রেণী কক্ষের মধ্যে ঢুকে সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকার সামনে লাথি মারে। এবং এলোপাতালি পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ইসমাইল মোল্যা দাড়িয়াপুরগ্রামের প্রবাসী আসলাম মোল্যার ছেলে। শিশুদের মধ্যে মারামারির জের ধরে অভিভাবকের এমন আচরনের জন্য পরিবার, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পক্ষ থেকে সুষ্ঠু বিচার দাবী করা হয়েছে।

শ্রেণী শিক্ষিকা শ্যামলী নন্দী জানান, মারিয়ার পিতা সুজন বিশ্বাস শ্রেণী কক্ষের মধ্যে ঢুকে সকল শিক্ষার্থীর সামনে ইসমাইলকে লাথি মারে। এবং হাত পা ধরে আছাড় মারে। পাশাপাশি প্রহারও করে। এই সময় গ্রামের একজন তাকে ধরে ফেলে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুজন বিশ্বাসের সাথে দ্যাঢাকাপোষ্ঠডটকম যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি ভুল করেছেন। মেয়েকে মারার কথা শুনে তিনি রাগের মাথায় শিশু ইসমাইলকে মেরেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার সিংহ জানান, তিনি বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সার্বিক) সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্দিকুর রহমান দ্যাঢাকাপোষ্ঠডটকমকে জানান, আমরা উভয় পক্ষকে বিদ্যালয়ে ডেকে তাদের মতামত শুনেছি। পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত সুজন বিশ্বাস দোষী প্রমানিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।