English Version
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১১:৩৩

গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো একজন মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো একজন মারা গেছেন

গাজীপুরে টায়ার তৈরির একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নিহত ৭ জন। ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ ছয়জন নিহত হন। এছাড়া আরও কয়েকজন দগ্ধ হন।

গাজীপুর পূবাইলে স্মার্ট মেটাল অ্যান্ড কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের এক কারখানায় শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় কারাখানাতে শ্রমিকরা কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ বয়লার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

তারা জানান, ওই সময় স্থানীয় বারইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা জেবুন নেছা রিকশাযোগে কারখানার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে তিনি দগ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া ওই ঘটনায় কারখানার আরও পাঁচ শ্রমিক নিহত হন। নিহতদের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে চেনার উপায় নেই। ঘটনায় আহত হন ওই কারখানার অন্তত ১০ শ্রমিক। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জয়দেবপুর, কালিগঞ্জ ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের মোট ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ওই কারখানার একটি লরি, তেলের ড্রাম ও সমস্ত মেশিনপত্র পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে এতগুলো প্রাণহানির কারণে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, পুরাতন টায়ার সংগ্রহ করে ওই কারখানায় উচ্চমাত্রার তাপে রিট্রেডিং করে বাজারে বিক্রি করা হতো।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জয়দেবপুর স্টেশনের কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পূবাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ফায়জুর রহমান। পূরাতন টায়ার সংগ্রহ করে ওই কারখানায় উচ্চ মাত্রার তাপে গলিয়ে তৈল উৎপাদন করা হত বলেও জানান। 

শনিবার রাতে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ কারাখানাটিকে ‘অবৈধ কারখানা’ দাবি করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এঘটনায় মৃতের সংখ্যা সাতে দাঁড়িয়েছে।

জেলা প্রশাসক এস এম আলম ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া লাশ দাফনে সহযোগীতার জন্য জেলা প্রশাসন ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।