English Version
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:৪৪

সংস্কৃতি জাগরণই পারে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে: রিমি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সংস্কৃতি জাগরণই পারে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে: রিমি

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জাগরণই পারে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন সময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাসব্যাপী মেলাটির আয়োজন করেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। এই মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উৎসব চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

দেশের সবগুলো জেলার শিল্প সংস্কৃতি ঐতিহ্য এ মেলায় একই সঙ্গে একই স্থানে তুলে ধরার পরিকল্পনার কথা উল্লখ্য করে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জাগরণই পারে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে। এক স্থানে ৬৪ জেলার ঐতিহ্য ও কৃষ্টি তুলে ধরা গেলে মানুষ এক স্থানে এসে সবকিছু অবলোকন করতে পারবে। তিনি দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশের প্রতি জোর দেন এবং বাঙালিপনা মেলায় তুলে দেয়ার আহ্বান জানান।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম, সোনারগাঁও পৌরসভা চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামছুল ইসলাম ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলী হোসেন।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাসের ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা শাহ আলম রূপম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সোহেল রানা, ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি প্রমুখ।

এদিকে, মেলায় ১৭২টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেরায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৪৮ জন কর্মরত কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ২৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, নকশি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা ও পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পটচিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্প ইত্যাদি এ মেলায় স্থান পাচ্ছে।

এছাড়া লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভাণ্ডারি গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তি-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।