English Version
আপডেট : ৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১২:১৫
পলাতকদের নিয়ে প্রশ্ন

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কাজী আরেফের স্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কাজী আরেফের স্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ

কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার ঘটনায় ১৭ বছর তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্ত্রী রওশন জাহান সাথী। পাশাপাশি পলাতক খুনিরা কেন ধরা পড়েনি, এবং এই হত্যাকান্ডের পেছনের মুল হোতা কারা সেই প্রশ্ন তুলেছেন জাসদ নেতার সহধর্মীনী।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিন খুনী সাফায়েত হোসেন হাবিব, আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মান্নান মোল্লা এখনও পলাতক। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী।

সাবেক সংসদ সদস্য রওশন জাহান বলেন, আমরা আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের শাসন এগিয়ে যাক সেটাই আমরা চাই। এতবছর পর রায় কার্যকর হচ্ছে, এটা অবশ্যই ইতিবাচক। তবে ৫ জন আসামি এখনও ১৭ বছর ধরে পলাতক রয়েছে। কিন্তু কেন?

তিনি আরও বলেন, কাজী আরেফের একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, যিনি একাত্তরে বিএলএফ-এর সংগঠক ছিলেন। তাকে হত্যা মানে বোঝা যায়, রাজনীতি কোথায় যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয় জাসদ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফসহ পাঁচজনকে। ঘটনার পরদিন দৌলতপুর থানার এসআই মো. ইসহাক আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় জজ আদালত ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৮ সালের ৩১ অগাস্ট নয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হলে সুপ্রীমকোর্ট ২০১১ সালের ৭ অগাস্ট পাঁচজনের ফাঁসি এবং সাতজনের যাবজ্জীবনের রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন আগেই মারা যান।