English Version
আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:০৫

প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা!

প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়া অরিনকে (১৭) হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন মোস্তফা কামাল (৫২) নামে এক  বাবা। খুলনা নগরীর ৮ আহসান আহমেদ রোডে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার হোতা মোস্তফা কামাল খুলনায় পারমানবিক শক্তি কমিশনে  চাকরি করতেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন এবং আহসান আহমেদ রোডের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বলে।

মোস্তফা কামালের মেয়েটি ছিল শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। তাদের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার আটটাকা গ্রামে। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি সু্‌ইসাইড নোট লিখে যান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে পর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে  পরে নিজে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন  বলে তারা ধারণা করছেন।

মেয়ে ও বাবা এক কক্ষে থাকতেন। মেয়েকে সেবাযত্ন ও সব সময় কাছে কাছে রাখতেন মোস্তফা কামাল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মেয়ে ও বাবা একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এ সময় তাঁরা মোস্তফা কামালকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। আর পাশেই পড়ে ছিল মেয়ের লাশ। পরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।মোস্তফার  পরিবার সূত্রে জানা যায়, অফিসের কিছু কাজের ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রচণ্ড চাপে ছিলেন মোস্তফা কামাল। তা ছাড়া বড় মেয়ের শারীরিক অসুস্থতাও তাঁকে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। এ কারণে হয়তো তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

সুইসাইড নোটে মোস্তফা কামাল তাঁর মৃত্যুর জন্য খুলনা পরমাণু শক্তি কমিশনের পরিচালক অশোক কুমার পালকে দায়ী করে গেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।