শনিবার গভীররাতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে পণ্যবাহী তিনটি ট্রাক ও একটি যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছেন হতভাগ্য এক ব্যক্তি। সেখান থেকে ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ চিৎকার ভেসে আসছে। চাপা পড়া অবস্থায় তার এক হাত ও পা দেখা যাচ্ছে। দেহটা ট্রাকের ফাঁকা স্থানে আটকা রয়েছে। এই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্ঘটনার ওই মহাসড়কে শনিবার গভীররাত থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইলের জামালপুর নামক এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ফারহান ফিলিংস্টেশনের সামনে বগুড়া থেকে ঢাকামুখী তিনটি আলু ও ধান বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-১৬১৪, ঢাকা মেট্রো-ট-১৬- ৭৩৬৩ ও ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৩৮৮০) একে অপরকে ওভারটেক করতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা কান্তি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্রো -ব-১১-৪৩৩৩) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর এই চারটি যানবাহন মহাসড়কের ওপর এলোমেলোভাবে উল্টে পড়ে। ফলে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার সোহেল রানা জানান, ট্রাকের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত তার পরিণতি কি হয় তা জানতে আরো সময় লাগবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এ ছাড়াও মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে আরো কত সময় লাগবে তাও এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।