English Version
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:০৬

জাপান বাংলাদেশকে দিয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক
জাপান বাংলাদেশকে দিয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীগের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও বিশ্বস্ত দেশ জাপান। একক দেশ হিসেবে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সহযোগীও তারা। বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, সেতুসহ প্রায় সব খাতের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী এ দেশটি। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত সূর্যোদয়ের এ দেশটির কাছ থেকে ছাড় হয়েছে ১৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ। প্রতিশ্রুতি এসেছে ২৮ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত এ দেশটির পাইপলাইনে ঋণ আটকে ছিল ৭৫৭ কোটি ডলারের।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশ ও উন্নয়ন সংস্থা ঋণ, অনুদান ও খাদ্যসহায়তা দিয়ে থাকে। এ ধরনের উন্নয়ন-সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক।

সম্প্রতি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। তবে এবার ঋণের সুদের হার আগের প্যাকেজের চেয়ে বেশি। জাইকার এ ঋণ ৪৩তম সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) প্যাকেজের অংশ হিসেবে আসবে।

জাপানের ঋণে যে তিনটি প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে তা হলো কক্সবাজারের বহুল প্রত্যাশিত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েলগেজ রেললাইন এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মানোন্নয়ন।

স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় জাপান। অবকাঠামো ও কারিগরি প্রকল্পেই জাপানের কাছ থেকে বেশি সহায়তা পাওয়া গেছে। তবে ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছর পর্যন্ত শুধু খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জাপান। এ সময় পর্যন্ত সাত কোটি ডলারের বেশি খাদ্যসহায়তা দিয়েছে দেশটি।এর প্রায় পুরোটাই অনুদান হিসেবে এসেছে। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে জাপানের কাছ থেকে প্রথম ৯০ লাখ ডলার ঋণ পায় বাংলাদেশ।

এরপর থেকে খাদ্য, অনুদান ও ঋণ সহায়তা সমান্তরালে পেতে থাকে বাংলাদেশ। ২০০২-০৩ অর্থবছরের পর থেকে আর খাদ্য সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ। তবে জাপানি সাহায্যের বেশির ভাগই সহজ শর্তে, স্বল্প সুদের ঋণ। বর্তমানে জাপান শুধু উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ ও অনুদান দিয়ে থাকে। এভাবে বদলে গেছে বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উন্নয়ন সহায়তার চিত্র।