English Version
আপডেট : ২১ জুন, ২০২২ ১১:৪৯

মার্কেট-দোকান রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা চান ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক
মার্কেট-দোকান রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা চান ব্যবসায়ীরা

সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে সাধারণত রাত ৮টার পর জমজমাট হয় রাজধানীর বিপনীবিতানগুলো। করোনা মহামারির জন্য সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকসান হয়েছে। এখন সময় এসেছে লোকসান কাটিয়ে ওঠার, স্বপ্ন দেখছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে রাত ৮টা থেকে বন্ধে করে দেওয়া হয়েছে বিপনীবিতানগুলো। এতে ব্যবসায় আবারও ধস নামবে ধারণা ব্যবসায়ীদের। 

এর থেকে রক্ষা পেতে পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন দোকান মালিক সমিতি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সোমবার (২০ জুন) থেকে সারা দেশে রাত ৮ টার পর দোকান, বিপনিবিতান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগের দিন বিকেলে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন ঈদুল আযহায় দোকান বন্ধ রাখায় বিপুল পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসায়ীরা। তারা সরকারের নিকট আরও দুই ঘন্টা খোলা রাখার দাবী জানান।

গাউছিয়া মার্কেটের রাহী ফ্যাশান এর মালিক তালেব হোসেন বলেন, আমার কাপড়ের ব্যবসা। রাত ৮টার পর ব্যবসা বন্ধ হলে আামাদের ক্ষতি হবে। এমনিতেই করোনা মহামারির দুই বছরের ক্ষতিপূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে আবার রাত ৮টার পর বন্ধ দিচ্ছে সবকিছু। এ রকম চলতে থাকলে আমরা কই যাবো। আমরা চাই ভালোভাবে ব্যবসা করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে। এজন্য অন্তত রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার সীমা থাকা উচিত।

পল্টনের পলওয়েল সুপার মার্টেকেটর দোকান মালিক রাজু আহমেদ বলেন, রাজধানী এবং বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন পাইকারি কেনাকাটা করার জন্য। রাত ৮টা তো অনেকটা সন্ধ্যা। বেচাকেনার মূল সময় হলো রাত ৮ টার পর। এই সময়ে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। ৮টার জায়গায় আরও অন্তত দেড় থেকে ২ ঘণ্টা বাড়াতে হবে। আমাদের তো কর্মচারীসহ দোকান ভাড়া তুলতে হবে। আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি কোনোভাবেই রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ করতে চাই না।

রোববার আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মহ. শের আলী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবীন বানু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের  অতিরিক্ত সচিব মাসুদ করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি  মো. নূর কুতুব আলম মান্নানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, দপ্তর- সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।