English Version
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:৪১

নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া দিশেহারা ক্রেতা

অনলাইন ডেস্ক
নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া দিশেহারা ক্রেতা

আটদিনের চলমান লকডাউনের প্রভাবে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। আকাশছোঁয়া নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। মূলত সংকট নয়, মনিটরিংয়ের অভাবেই নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই নিত্যপণ্যের লাগাম ছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

গতকাল শান্তিনগর, নিউমার্কেট ও মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার মনিটরিং এবং টিসিবির ট্রাক সেল তদারকি করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। এ সময় তিনি সবজির দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সচিব বলেন, মহামারীর সময় যেন নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে থাকে আমরা সে চেষ্টা করে যাচ্ছি। লকডাউনের কারণে সাপ্লাই চেইনের কোথাও সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের শুরুর দিন থেকেই সবজিসহ নিত্যপণের দাম হু হু করে বাড়ছে। প্রায় প্রতিটি সবজিই দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বাজারে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি কেনা বেশি পড়ে, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের প্রভাবে কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লেও ঢালাওভাবে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়েনি। বাজারে মনিটরিং বাড়ানো হলে অতিরিক্ত মূল্য হাঁকার প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করছেন পাইকাররা।

নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর, জুরাইন, শান্তিনগর, পলাশী, যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়া টমেটো ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে শসার দাম। গত সপ্তাহে শসা ছিল ৪০ টাকা। গতকাল বাজারে শসা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা দরে। কালো বেগুনের দাম বেড়েছে আড়াই থেকে তিন গুণ। রোজার আগে ৪০ টাকা দরের কালো বেগুন গতকাল ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। চিচিঙ্গা রোজার আগে ছিল ৪০ টাকা। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা দরে।

রোজার আগে এক কেজি কাঁচামরিচের দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা দরে। ৪০ টাকা হালি লেবুর দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা হালি। ১৫০ টাকা কেজির ধনেপাতা বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। একটি মাঝারি আকৃতির লাউ আগে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত, গতকাল তা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া বাজারে অন্যান্য সবজি কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বাড়তি মূল্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, পলাশী কাঁচাবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজার থেকে বেশি মূল্যে সবজি কিনতে হচ্ছে। ফলে আমরাও বেশি দামে সবজি বিক্রি করছি। কিন্তু শ্যামবাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা আবদুস সালাম বণিক বার্তাকে বলেন, যেসব সবজির দাম বাড়তির দিকে, যেমন শসা, বেগুন ইত্যাদি। পাইকারি বাজারে এগুলোর দাম বাড়েনি। খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার লোভে এগুলো আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি করছে। আমাদের কোনো কোনো পাইকারি বিক্রেতাও বাজারের চাহিদা বাড়তির কারণে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। প্রশাসন সতর্ক হলে এ ধরনের অযাচিত হয়রানি থেকে সাধারণ ভোক্তা রেহাই পাবেন।