English Version
আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৩৬

নিম্নমানের সিলিন্ডার, এলপিজি ব্যবহারে বাড়ছে ঝুঁকি

অনলাইন ডেস্ক
নিম্নমানের সিলিন্ডার, এলপিজি ব্যবহারে বাড়ছে ঝুঁকি

লিকুইড প্রেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। বিস্ফোরক পরিদপ্তর বলছে, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতন না হলে সরকারের এক্ষেত্রে তেমন কিছু করার নেই। এদিকে গত বছরে গ্যাস জনিত ৮৫৭টি দুর্ঘটনার ১৩৫টিই সিলিন্ডার ও বয়লারে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত কমে আসায় রান্নায় ব্যবহার বাড়ছে সিলিন্ডার এলপি গ্যাসের। আবাসিক থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁসহ নানা প্রতিষ্ঠানে এখন গ্যাস সিলিন্ডার। গ্রামেও বেড়েছে এর চাহিদা। তবে সিলিন্ডার কেনার ক্ষেত্রে পাইপলাইন, রাবার টিউব ও রেগুলেটারটি মানসম্পন্ন কিনা তা যাচাই না করায় হচ্ছে বিস্ফোরণ। ঘটছে হতাহতের ঘটনা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইয়াসির আরাফাত খান সতর্ক করে বলেছেন, অনেক সময় সিলিন্ডারের মান ভালো থাকলেও নিম্নমানের রেগুলেটরের কারণে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। পাশাপাশি এ গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও লাগবে সাবধানতা।

এদিকে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতন না হলে, দুর্ঘটনা ঠেকানো কঠিন। এক্ষেত্রে সরকারের তেমন করণীয় নেই।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন জানান, গত বছর অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে ২১ হাজার ৭৩টি। এর মধ্যে গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা ৮৫৭টি আর সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ ১৩৫টি।

কেনার সময় সিলিন্ডার ও এর যন্ত্রাংশের গুণগত মান নিশ্চিত করায় জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি চেয়েছেন, বিক্রির আগে সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষা করা হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে দরকার সরকারি নজরদারি।