English Version
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২১ ১৫:২০

বাজারদর: চাল আমদানির পরেও কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি

অনলাইন ডেস্ক
বাজারদর: চাল আমদানির পরেও কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি

সব ধরনের চালের দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। লাগামহীন দামে সবচে বিপাকে কম আয়ের মানুষ। ভারত থেকে চাল আমদানির পরও বাজারে দামের কোনো প্রভাবই পড়েনি।

গত এক মাস ধরে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীদের কাছে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর নজরদারির দাবি ক্রেতাদের।

এদিকে ঝিনাইদহে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ১ টাকা। মেহেরপুরে ২৫ কেজি বস্তায় বেড়েছে ২শ টাকা পর্যন্ত। চুয়াডাঙ্গায় মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে চিকন চাল।

ভারত থেকে আমদানির পরও নওগাঁয় নিয়ন্ত্রণে আসেনি চালের বাজার। গত একমাস ধরে কেজিতে ১০ টাকা বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এক্ষেত্রে ব্যরসায়ীদের দাবি, আমদানি করা চাল নিম্নমানের। আর সেই কারণেই দামের পাথর্ক্য মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কম হওয়ায় আগ্রহ নেই ক্রেতার। মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে দাম কমতে পারে বলে মনে করছেন এই ব্যবসায়ীরা।

তবে, বেশি চাল আমদানি হলে কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তিন মাসে ২০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

এদিকে চালের দামের পাশাপাশি তেল ও পেঁয়াজের দামও উদ্ধমুখী। ভোজ্যতেলের দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলছেন ব্যবসায়ীরা। মান ও কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাগছে। বাছাই করা পেঁয়াজ ৫৫–৬০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে কোনো কোনো বাজারে। চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, মুরগি ও গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে পেঁয়াজের দামও বাজার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের শুরুর দিকে বাজারে আসা কন্দ বা মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ শেষের দিকে। বীজ থেকে উৎপাদিত হালি পেঁয়াজ এখনো পুরোদমে উঠতে শুরু করেনি। এ কারণেই দাম বেড়েছে।