English Version
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২১ ১৫:১৯

লিটারে ভ্যাট ১৮ টাকা, সয়াবিনে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের

অনলাইন ডেস্ক
লিটারে ভ্যাট ১৮ টাকা, সয়াবিনে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের

সয়াবিন তেলের দামে নাভিশ্বাস ক্রেতার। তবে, পোয়াবারো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের। এক লিটার তেলে ১৮ টাকা ভ্যাট আদায় করছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দ্বিগুণ ভ্যাট পাচ্ছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, ভ্যাট কমালে দাম কিছুটা সহনীয় হবে।

ভোজ্য তেল বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কমেছে বিক্রি-মুনাফা, দুটোই। উল্টো ক্রেতার চোখে অপরাধী তারা। ক্ষোভ থেকেই কথাগুলো বলছিলেন কারওয়ান বাজারের এই ব্যবসায়ী।

কথা হলো, বাসাবো থেকে তেল কিনতে আসা হোটেল কর্মচারি রবিউলের সঙ্গে। তার হোটেলে প্রতিদিন সয়াবিন তেল লাগে ১৫ লিটার। তেলের দাম বাড়লে খাবারের দাম বাড়েনি। তাই কমেছে মুনাফা। বাজারের এমন উর্ধ্বগতিতে বিপাকে ভোক্তা-ক্রেতা সবাই। এ পরিস্থিতিতে ভ্যাট কমানোর দাবি তাদের।

ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে, প্রতিটন অপরিশোধিত তেলের আমদানি মূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা। এতে দিতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৪ শতাংশ অগ্রিম আয়কর। সব মিলিয়ে প্রতিটন তেলে কর প্রায় ১৮ হাজার টাকা। কিছুদিন আগেও যা ছিল প্রায় অর্ধেক।

এনবিআরের হিসাবে, গত অর্থবছরে অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানিতে রাজস্ব আদায় হয় এক হাজার ৮শ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এক হাজার একশ কোটি।

অন্যদিকে গোপনীয়তার মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ হয়েছে ভোজ্য তেলের মূল্য নির্ধারণে বৈঠক। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক হয়। বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দিন বলেন, রোববার দুপুর দুইটায় আরেকটি বৈঠকের মধ্য দিয়েই ভোজ্য তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন মূল্য নির্ধারণের একটি প্রস্তাব করে। যাতে প্রতি লিটার খোলা সোয়াবিন তেল ১১৫ টাকা, খোলা পাম অয়েল ১০৫ টাকা ও প্যাকেটজাত সোয়াবিন তেল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়।প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে খোলা প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১৩ টাকা, পামওয়েল ১০৩ টাকা ও প্যাকেটজাত সোয়াবিন তেল ১২৬ টাকা মূল্য খসড়া নির্ধারণ করে।

তবে ভোজ্যতেলের চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যসচিব জানায় রোববারের বৈঠকে মূল্য চূড়ান্ত ভাবে নির্ধারণ করা হবে।