English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৮:৪৫
সূত্র:

চীন থেকে আমদানি বন্ধে ফেব্রুয়ারিতেই রাজস্ব ক্ষতি হবে ৩০০০ কোটি

চীন থেকে আমদানি বন্ধে ফেব্রুয়ারিতেই রাজস্ব ক্ষতি হবে ৩০০০ কোটি

বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে চীন থেকে। দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশের আমদানিকারক দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে দেশটি। আর এখন চীন থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ থাকলে, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই ৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লোকসান হবে সরকারের। কাঁচামালের অভাবে বন্ধ হবে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনও।

করোনাভাইরাস আতংকে অনেক দেশ চীন থেকে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এ ভাইরাসটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পোশাক শিল্পমালিকরা বলছেন, কাঁচামালের সংকটে, রপ্তানি আদেশ ফিরিয়ে দিচ্ছেন তারা। আর আমদানি বন্ধের কারণে, এরইমধ্যে খুচরা ও পাইকারি বাজারে বেড়েছে মোবাইল, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ ও মসলার দাম।

রাজধানীর শ্যামবাজারের এই আড়তে, এটিই চীন থেকে আসা সবশেষ রসুনের চালান। যদিও আরও তিনটি চালান আটকে আছে সেখানকার নৌবন্দরে। আগের যোগানে এখনও টান পড়েনি, তবে দাম বাড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ‘ দাম বেড়েছে। ২০/৩০টাকা। না আসলে রসুনের দাম বাড়তে থাকবে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি হতে পারে।’   দেশে মোবাইল ফোন তৈরি হলেও, যন্ত্রাংশের জন্য চীনই প্রধানতম ভরসা। সেই সঙ্গে পেনড্রাইভ, চার্জার, মেমোরিকার্ডসহ অন্যান্য অ্যাকসেসরিজও মেড ইন চায়না। তাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে এই বাজারেও। ব্যবসায়ীরা জানান, ‘ব্রান্ডেড ফোন সেট বাজারে নেই। চার্জার, হেডফোন, ডাটা কেবল এগুলোর দাম আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।’

বিশ্ববাজার থেকে বাংলাদেশের আমদানির ৩৪ শতাংশই আসে চীন থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চীনা আমদানির তিন ভাগের দুই ভাগই মেশিনারিজ, তুলা ও কাপড়। কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত তিন মাসে দেশটি থেকে এসেছে ২ হাজার ৬৭ কোটি টাকার পণ্য। আর জানুয়ারিতেই সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে পুরোপুরি বন্ধ আছে আমদানি।

এ প্রসঙ্গে, ঢাকা কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘যেহেতু কার্গো বিমানগুলো আগের মতো যাতায়াত করছে না। স্বাভাবিকভাবে কাঁচামালের আমদানি কমে গেছে।’

চীন থেকে আমদানি বন্ধের প্রভাব শুধু রাজস্বেই আটকে নেই। বিপদে পড়েছেন শিল্পোদ্যোক্তারাও। কেননা কারখানায় কাঁচামালের মজুত শেষ হতে চলেছে। বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো চালান ওখানে আটকে আছে। আমরা শঙ্কায় আছি। সকল ফ্যাক্টরির একই অবস্থা। নতুন করে চালান না এলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’ অর্থাৎ চীনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে, বাংলাদেশের অর্থনীতিও থমকে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ডিবিসি নিউজ