English Version
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ১১:১৪
সূত্র:

পুঁজিবাজার ঠিকই আছে, ওঠানামা স্বাভাবিক: অর্থমন্ত্রী

পুঁজিবাজার ঠিকই আছে, ওঠানামা স্বাভাবিক: অর্থমন্ত্রী

পুঁজিবাজারের উত্থান-পতনকে স্বাভাবিক ঘটনা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পুজিবাজার ঠিকই আছে, যে ওঠানামা হচ্ছে সেটা স্বাভাবিক।

সোমবার চলমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

পুঁজিবাজারের পতনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর আন্দোলন চালালেও এ বিষয়ে সংবাদপত্রে আসা খবর প্রত্যাখ্যান করেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পত্রিকায় লেখা আসে পুঁজিবাজার নাই; বাংলাদেশ নাই। আমরা নাই- এরকম লেখালেখি শুরু করছেন। কোথায় সেরকম ঘটনা ঘটছে? মার্কেট কোথায় ফল করছে? সূচক ৫৯০০ হয়েছিল। এখন ৫৩০০ হয়েছে। পুঁজিবাজারে সূচক এরকম শর্ট টার্ম ওঠানামা করতে পারে। জাপানে তো ৩৯ হাজার থেকে সাত হাজারের আসছিল, আমেরিকাতে ১৭ হাজার থেকে সাত হাজার আসছিল। আবার ইন্ডিয়াতে ২১ হাজার থেকে সাত হাজারের আসছিল। এখন আবার তারা ২২-২৩ এ চলে গেছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারা স্টাডি করেন, আমি মনে করি এই মুহূর্তে বাজার ঠিক জায়গাতেই আছে। এক সময় পিই ৮০-৯০ এ চলে গেছিল; এখন পিই আছে ২০ এর নিচে, ১৫ এর ঘরে। এটা খুব ভালো অবস্থা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অন্য দেশের মত না। অন্য দেশে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী বেশি। যারা বুঝেশুনে পুঁজিবাজারে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে এই সংখ্যা খুবই কম। সে কারণে সূচকের সামান্য পতনেই তারা অস্থির হয়ে যায়। কয়দিন পরপর পুঁজিবাজারে পতন হয়। এরইমধ্যে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে দুটি বড় ধস হয়েছে। এর পেছনে নিশ্চয় কেউ না কেউ আছে। এদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দর পতনের প্রতিবাদে ঢাকার মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ করেছিল বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। পুঁজিবাজারে অব্যাহত দর পতনের প্রতিবাদে ঢাকার মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ করেছিল বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দীর্ঘদিন মন্দা দশার পর জাতীয় নির্বাচনের আগে ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাজারের সূচক বাড়তে শুরু করে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের পর বাজার চাঙ্গাভাবে ফিরে আসে। ২৪ জানুয়ারি ডিএসইএক্স বেড়ে ৫৯৫০ পয়েন্ট হয়। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারি-জুন মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই বাজারে পতন শুরু হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার (২১ এপ্রিল) ডিএসইএক্স ৫৩২৪ পয়েন্টে নেমে আসে।

এই তিন মাসে ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ৬২৬ পয়েন্ট বা ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ। লেনদেনও কমতে কমতে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে, যা জানুয়ারির শেষ দিকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় উঠেছিল।