English Version
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৪৬
সূত্র:

কারখানা বন্ধের হুঁশিয়ারি বিজিএমইএ’র

কারখানা বন্ধের হুঁশিয়ারি বিজিএমইএ’র

পোশাক শ্রমিকরা কাজে না ফিরলে মজুরি তো দেওয়া হবেই না বরং ওইসব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি বলেন সিদ্দিকুর রহমান, আপনারা কর্মস্থলে ফিরে যান, উৎপাদন কাজে অংশগ্রহণ করুন। আর যদি আগামীকাল থেকে কাজ না করেন, তাহলে আপনাদেরকে কোনো মজুরি প্রদান করা হবে না এবং ঐ কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, কাজ করলে তো কারখানা বন্ধের প্রয়োজন নেই। আজ যে সিদ্ধান্ত আসবে তা যদি তারা মেনে না নেয় তাহলে আমরা কাল থেকে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবো।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে বলেছিলাম একটি মহল উসকানি দিচ্ছে। দুঃখের বিষয় হলো এখনও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। নতুন মজুরি কাঠামোতে বৈষম্য আছে বলে একটি মহল উসকানি দিচ্ছে। খাতটিকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সরকার গঠিত ত্রিপক্ষীয় কমিটি মজুরি কাঠামোর ৩, ৪ ও ৫ গ্রেডে যদি সমস্যা থাকে তবে তা সমন্বয় করা হবে, সেখানে সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, বেশি ছাড়া মজুরি কারো কমবে না। সবাইকে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু সেই আহ্বানকে অগ্রাহ্য করে তারা কারখানা ভাংচুর করছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন দেয়া হচ্ছে। কিছু ব্যত্যয় হলে সেখানেও দেয়া হবে। তবে আমরা দেখেছি যেখানে নতুন ওয়েজ অনুযায়ী বেতন দেয়া হয়েছে সেসব কারখানায় বেশি ভাংচুর করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদিসহ বিজিএমইএ’র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।