English Version
আপডেট : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৫:২০
সূত্র:

বেতন বাড়বে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত

বেতন বাড়বে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত

২০১৭ ও ২০১৮ সালের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে ২০১৯ সালেও বাংলাদেশের সব ধরনের ব্যাবসায়িক খাতে গড়ে ১০ শতাংশ বেতন বাড়বে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশের বেশি বেতন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য, সম্পদ ও ক্যারিয়ার অগ্রগতি বিষয়ক বিশ্বের অন্যতম পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান মার্সার। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮ সালের ‘বাংলাদেশ টোটাল রেম্যুনারেশন সার্ভে (টিআরএস)’ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে পরিচালিত গবেষণার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত মার্শ অ্যান্ড ম্যাকলেনান কম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মার্সার।

দেশের ভেতরে ভোগ্য পণ্য, লাইফ সায়েন্স, কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং, হাইটেক সেক্টর, পাইকারি ও খুচরা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকিং ও ফিন্যানশিয়াল সেক্টরের ৯০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর এই জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠানে জরিপের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেলস, ইঞ্জিনিয়ারিং ও সায়েন্স বিষয়ে দক্ষদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ বেশি।

মার্সারের ক্যারিয়ার অ্যান্ড রিজিওনাল প্রাকটিস লিডার, ওয়ার্কফোর্স রিওয়ার্ডস-এএমইএ শান্তি নরেশ বলেন, ‘বিগত তিন বছর ধরে শক্তিশালী অর্থনীতি ও ধারাবাহিক ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। একই সঙ্গে প্রতিভার প্রতিযোগিতার ফলে দেশটির কর্মসংস্থান ডাবল ডিজিট হারে বাড়ছে। ফলে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অফিসে কর্মীসংখ্যা কমে গেলে সেটা মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠছে।’

মার্সারের গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিয়োগের সামগ্রিক বিষয়টি খুবই ইতিবাচক এবং প্রায় ৩৮ শতাংশ কম্পানি তাদের কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত। তবে ব্যাবসায়িক দিক বিবেচনায় জনবল কমার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ভোগ্য পণ্য ও লাইফ সায়েন্স শিল্প। এই দুই খাতে জনবল কমেছে যথাক্রমে ১৮ ও ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া ২০১৮ সালে সবচেয়ে কম বেতন বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে আছে পাইকারি ও খুচরা শিল্প খাতে। এ দুটি খাতে বেতন বেড়েছে ৯ শতাংশ।

প্রযুক্তিগত সমাধান ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে স্বাস্থ্য, সম্পদ ও ক্যারিয়ার অগ্রগতি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে আসছে মার্সার। ৪৪টি দেশের ২৩ হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে ১৩০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মার্সার।