English Version
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:২৭
সূত্র:

প্রতি ভরি স্বর্ণে আমদানি শুল্ক ২ হাজার টাকা

প্রতি ভরি স্বর্ণে আমদানি শুল্ক ২ হাজার টাকা

বাণিজ্যিকভাবে আমদানিকৃত স্বর্ণের প্রতি ভরিতে দুই হাজার টাকা শুল্ক নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বর্ণ আমদানি নীতি নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে ব্যক্তিগতভাবে স্বর্ণ আমদানি করলে (প্যাকেজ) ৩ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত থাকবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বৈঠকে অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাজুস প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মাসেই জাতীয় রাজস্ববোর্ড স্বর্ণ নীতিমালার এস আর ও জারি করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও স্বর্ণ আমদানি কারক ও ব্যবসায়ীদের স্বর্ণ আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, অবৈধ স্বর্ণ বৈধকরণ করার জন্য কর নির্ধারণ করা হবে বলেও জানা গেছে।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জি কে মালাকার বলেন, স্বর্ণ আমদানি শুল্ক ২ হাজার টাকা, ভ্যাট ৫ শতাংশ আর অবৈধ সোনা ভরি প্রতি বৈধ করণ ট্যাক্স ১ হাজার টাকা।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুসারে, ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে আসা ভরি প্রতি স্বর্ণ ৩ হাজার টাকা ট্যাক্স। স্বর্ণ মেলায় অবৈধ স্বর্ণ এক হাজার টাকা ট্যাক্স দিয়ে বৈধ করা হবে।

এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ খুব শিগগিরই নিলাম করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জমানো স্বর্ণ সবশেষ নিলাম হয়েছিলো ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই।

স্বর্ণ আমদানির ওপর ২০১১ সালে প্রতি আউন্সে (২৮ দশমিক ২৫ গ্রাম) ৩ হাজার টাকা ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অর্থমন্ত্রী জানান, আগে এই ভ্যাট ছিল ৭০০ টাকা।

কিন্তু নতুন ভ্যাট হার আরোপের পর আর কোনো স্বর্ণ আইনগতভাবে দেশে আসেনি। উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর স্বর্ণ নীতিমালা অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।