English Version
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০১৮ ১৮:১০

ফড়িয়াদের মাথায় হাত

অনলাইন ডেস্ক
ফড়িয়াদের মাথায় হাত

সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কমদামে বিক্রি হচ্ছে কুরবানি পশুর চামড়া। এতে অনেকটা মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের। 

চলতি বছর সরকার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয় ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকেই পাড়া মহল্লা থেকে চামড়া কিনেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবুও পাইকারদের কাছ থেকে দাম না পাওয়ায় বিপাকে পরেছেন তারা।

সাধারণত একদম মাঠ পর্যায় থেকে চামড়া সংগ্রহ করেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছ থেকে সেসব চামড়া কিনে নেন পাইকাররা। আর পাইকাররা সেগুলো সরবরাহ করেন ট্যানারি কারখানাগুলোতে। কাঁচা চামড়া যেহেতু বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায় না এবং ফড়িয়ারদের কাছে চামড়া সংরক্ষণের কোন উপায় থাকে না তাই তারা দ্রুত সেগুলো পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিতে চান।

অন্যান্য বছরের কোরবানিগুলোতে রাজধানীতে পাইকারদের ঘুরে ঘুরে চামড়া কিনতে দেখা গেলেও চলতি বছর মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বরং উলটো পাইকার খুঁজে চামড়া বিক্রির চেষ্টা করছেন। রাজধানীতে পশুর চামড়া কেনাবেচার সবথেকে বড় আসর বসে সায়েন্সল্যাব ও ঢাকেশ্বরী মোড়ে। বুধবার বিকেল থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত অস্থায়ী এই দুইটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীই নিজেদের কেনা দামের থেকে কমে চামড়া বিক্রি করে দিচ্ছেন।

চামড়ার বাজার ঘুরে খুচরা মৌসুমী বিক্রেতাদের সাথে বলে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে সরকার নির্ধারিত বর্গফুট হিসেবে প্রতিটি চামড়া ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা করে কিনছেন। কিন্তু পাইকারী বাজারে বিক্রি করতে এসে চরম বিপাকে পড়েছেন। এখানে প্রতিটা চামড়া ৪শ’ থেকে ৫শ’ কম দাম দিচ্ছে। ফলে লাভ দূরের কথা, নিজেদের পুঁজিই তুলতে পারছেন না তারা।   মোবারক হোসেন নামে এক মৌসুমী ব্যবসায়ি বলেন, আমি সরকার নির্ধারিত দামে কিনে ২৫টা চামড়া নিয়ে এখানে এসেছি। কিন্তু এখানে পাইকারী ব্যবসায়ীরা সেই চামড়া ৮শ’ টাকা করে বলছে। এমন অবস্থা হলে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

তবে পাইকার ও ট্যানারি মালিকদের দাবি, তারা সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও চামড়া দাম কম। তাই চাইলেও বেশি দামে চামড়া কিনতে পারছেন না তারা।

আতিক উল্লাহ নামের এক ট্যানারি মালিক বলেন, চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার মন্দা। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই চামড়ার বাজার সবথেকে খারাপ। তারমধ্যে আমাদের ট্যানারিও শিফট (স্থানান্তর) হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরাও চাপে আছি। এখন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যদি বেশি দামে চামড়া কিনে আনেন তাহলে আমরা কী করতে পারি?