English Version
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০১৮ ০৮:০৩

মুরগির মাংস ও ডিমের দাম বাড়বে

অনলাইন ডেস্ক
মুরগির মাংস ও ডিমের দাম বাড়বে

পোল্ট্রি ফিডে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম বাড়বে বলে দাবি করেছে উৎপাদনকারীদের সংগঠন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব)। তারা বলছে, পাটের ব্যাগ ব্যবহারে পোল্ট্রি ফিডের ৫০ কেজি বস্তার ব্যয় বাড়বে বর্তমানের তুলনায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এতে তৃণমূল খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। শেষ পর্যন্ত এটি ভোক্তার ওপর গিয়ে পড়বে।

সরকারের পোল্ট্রি ও ফিস ফিড মোড়কীকরণে পাটের বস্তা বাধ্যবাধকতা আরোপের ব্যাপারে সংঠনের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তকে বাস্তবতার নিরিখে মূল্যায়ন করে আইন সংশোধনের দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে ফিআবের সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, পাটের ব্যাগ দিয়ে মোড়কীকরণ করলে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত ফিড সংরক্ষণ সম্ভব। দেশে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি, বর্ষায় তা সর্বোচ্চ। আর বাতাসের সংস্পর্শে এলে পোল্ট্রি ফিডে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটবে এবং ফিড বিষাক্ত হয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের মান উন্নয়নের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোক্তারা যখন রপ্তানির কথা ভাবছেন তখন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত এ শিল্পের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে। পাটের বস্তায় বিশ্বের কোনো দেশ কী আমাদের কাছ থেকে পোল্ট্রি কিংবা ফিস ফিড কিনবে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ফিড প্রস্তুতকারকরা বলছেন, পূর্বাপর না ভেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশীয় শিল্প পথে বসবে। যেখানে পাটের বস্তার ব্যবহার বাস্তবসম্মত নয় সেখানেও জোর করে বাধ্যতামূলক করা অত্যন্ত দুঃখজনক।

শুধুমাত্র ফিড ইন্ডাস্ট্রিতেই বছরে অন্তত এক কোটি বস্তার প্রয়োজন। নির্ধারিত সময়ে এ পরিমাণ বস্তা সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব। বস্তার অভাবে যদি ফিড সরবরাহ ব্যাহত হয় তবে বাজারে ডিম ও মুরগির মাংসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে- যা পণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহসানুজ্জামান বলেন, ৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতার পিপি ওভেন বস্তার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। সেখানে পাটের বস্তার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শুধুমাত্র পাটের বস্তার কারণেই প্রতি ব্যাগ ফিডের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে যাবে।