English Version
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০১৮ ১১:১৯

দেশি গরুতেই মিটবে কোরবানির চাহিদা

অনলাইন ডেস্ক
দেশি গরুতেই মিটবে কোরবানির চাহিদা

দেশে এখন প্রতিবছর এক কোটির বেশি পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এর মধ্যে থাকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ গরু। দেশি খামারিরা এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ লাখের জোগান দিয়ে থাকে। ঘাটতিটা পূরণ হয় ভারত থেকে আসা গরু দিয়ে। তবে গত দুই বছর ধরে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে চাহিদার প্রায় পুরোটাই দেশি গরু দিয়ে মেটানো হচ্ছে।

এদিকে আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের খামার মালিক ও কৃষকেরা। গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত তাঁরা। তবে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে এবারও দেশি গরুর ওপর ভরসা রাখছে সরকার।  

কোরবানির জন্য এবার প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া দেশি গরু মোটাতাজাকরণের সংখ্যাও অন্যবারের চেয়ে এবার কয়েক লাখ বেশি। পশুর হাটে এবার পর্যাপ্ত গরু থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

কিছুদিন আগে কোরবানির পশু নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে জানানো হয়, কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে এবার ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৭১ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে পাঁচ কোটি ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ১৫ লাখ ১৭ হাজার কোরবানির উপযোগী। সব মিলিয়ে এবার ১ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ। গত বছর কোরবানিতে জবাই হয়েছিল ১ কোটি চার লাখ ২২ হাজার পশু। আসন্ন কোরবানিতে গরুর চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি আছে। খামারিরা ভালো দামের আশায় গরু মোটাতাজাকরণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতেও কোরবানির জন্য গরু মোটাতাজা চলছে। এ বছর দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতেই অন্তত এক হাজার কোটি টাকা মূল্যের আড়াই লক্ষাধিক গরুকে মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে প্রায় আড়াই লাখ ষাঁড় গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।