English Version
আপডেট : ৩০ জুন, ২০১৮ ১৮:৪৪

কাল থেকে কার্যকারিতা হারাচ্ছে পুরনো ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর

অনলাইন ডেস্ক
কাল থেকে কার্যকারিতা হারাচ্ছে পুরনো ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর

আগামীকাল পহেলা জুলাই থেকে কার্যকারিতা হারাচ্ছে ভ্যাটের ১১ ডিজিটের পুরনো নিবন্ধন নম্বর। আজ ৩০শে জুনের মধ্যে নতুন নম্বর না নিলে, সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।

ভ্যাট ব্যবস্থা অটোমেশনের অংশ হিসেবে গেল বছরের মার্চে অনলাইনে নতুন ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর ইবিআইএন দেয়া শুরু করে এনবিআর। এরপর ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের সুযোগ দিয়ে তিন দফা মেয়াদ বাড়িয়ে, সবশেষ ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় সংস্থাটি।   সনাতন নিয়মে ৮ লাখের বেশি নিবন্ধন থাকলেও এখন পর্যন্ত নয় ডিজিটের নতুন বিন নম্বর নিয়েছে মাত্র ১ লাখ ৮ হাজার প্রতিষ্ঠান। এনবিআর বলছে, জুলাই থেকে পুরনো নম্বরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারবে না কোন প্রতিষ্ঠান।

ভ্যাট অনলাইনের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল হাসান বলেন, পহেলা জুলাই থেকে পুরাতন নিবন্ধন নম্বর গ্রহণ করা হবে না। তিনি আমদানি ও রপ্তানি করতে পারবে না। কেননা সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সরকারি কর পরিশোধ করতে পারবে না। কারণ ট্রেজারি তার নম্বরটি গ্রহণ করবে না।

ভ্যাট কমিশনারই বলছেন, অনেক গলদ রয়েছে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সিস্টেমে। এ অবস্থায় পুরনো বিন বাতিল করা হলে জটিলতা সৃষ্টির পাশাপাশি রাজস্ব হারাবে সরকার।

ঢাকা দক্ষিণের ভ্যাট কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইনে কিছু কিছু রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, এর বেশির ভাগই ভুয়া। অনেকে অন্যের ইমেল আইডি ও আরেক জনের ন্যাশনাল আইডি দিয়ে আবেদন করেছেন। এছাড়াও অন্যের ব্যাংকের নম্বর নিয়ে অনেকে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।   করদাতাদের অভিযোগ, একই কোম্পানির অধীনে থাকা একাধিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের বিধান করা হলেও বিদ্যমান আইনের আলোকে আবেদন ফর্ম সংশোধন না করায় এটি ব্যবহার করতে পারছেন না তারা।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের ডেপুটি ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইনে নয় ডিজিটের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজগুলো এখনো হালনাগাদ করে নি। সুতারং এখনি যদি ১১ ডিজিটের নিবন্ধন সংখ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেহেতু নতুন ৯ ডিজিটের পিন নম্বর এলসিতে ব্যবহার করেনি।

সেকারণে জুলাই থেকে সেই নম্বর ব্যবহার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮শ' কোটি টাকা। সিস্টেমটি ব্যবহার উপযোগী না হলে সব কিছুই ভেস্তে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।