English Version
আপডেট : ২৪ জুন, ২০১৮ ১৪:১৩

গুয়াংজুতে ফ্লাইট চালু করবে বিমান বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
গুয়াংজুতে ফ্লাইট চালু করবে বিমান বাংলাদেশ

বাংলাদেশের কাছে চীনের বাণিজ্যিক শহর গুয়াংজু এখন এক গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স লাভজনক এই রুটের গুরুত্ব বিবেচনায় ফ্লাইট চালু করলেও পারেনি সরকারি সংস্থা বিমান বাংলাদেশ। তবে এবার আবারও আশার কথা শুনিয়েছে এয়ারলাইন্সটি। আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে গুয়াংজু রুটে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট চালু হতে পারে।

এব্যাপারে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানকে লাভজনক করতে হলে জনপ্রিয় রুটগুলোতে দ্রুত ফ্লাইট চালু এবং আন্তর্জাতিক রুট নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।   বছরে অন্তত এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আসে চীন থেকে। যার বেশিরভাগই আবার গুয়াংজু থেকে। তাই ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালুর দাবি অনেকদিনের।

তবে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি আর কয়েক দফা ঘোষণার মধ্যেই আটকে আছে, বিমানের ফ্লাইট চালুর কার্যক্রম। সবশেষ গেলো ২৫ মার্চ, এই রুটে লাল-সবুজের পতাকাবাহী রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ চালুর ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।

এব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এ মোমেন বলছেন, বাংলাদেশ বিমান গুয়াংজুতে যাবে এটা ২০০৯ সাল থেকে শুনে আসছি। রুটটিতে আমরা যথেষ্ট ট্র্যাফিক পাবো।

একটা প্রাইভেট এয়ারলাইন্স (ইউএস-বাংলা) যদি গুয়াংজুতে অপারেশন চালাতে পারে, তবে বিমান বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনে থেকেও পারবে না- এটা মনে করার কারণ নেই।   বিমান বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের জিএম শাকিল মেরাজ বলেন, বিগত ৪৬ বছরে বিমান বাংলাদেশ ৫ কোটি ২৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বিমান নিট মুনাফা করেছে ৪৭ কোটি টাকা।

একই সময়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩৮১ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করেছে। নতুন ড্রিমলাইনার যোগ হলে এ খাত আরো সমৃদ্ধ হবে। আমরা এমন একটা এয়ারক্র্যাফট চাচ্ছিলাম, যেখানে যাত্রী নেওয়ার পাশাপাশি মালামালও নেয়া যায়।

কিন্তু ওই ধরনের এয়ারক্র্যাফটের সংস্থান না হওয়ায় আমরা সামার শিডিউলে গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারিনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিমান বহরে ২টি নতুন বোয়িং ৭৮৭ (ড্রিমলাইনার) যুক্ত হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও গুয়াংজু স্টেশনে বিমানে ফ্লাইট চালু হবে।