English Version
আপডেট : ১০ জুন, ২০১৮ ১৫:৫৬

ঈদে অনলাইনে কেনাকাটার ধুম

অনলাইন ডেস্ক
ঈদে অনলাইনে কেনাকাটার ধুম

সারা দিন ঘুরে ঘুরে পোশাক কেনা এখন অনেকার কাছেই রীতিমতো ঝামেলার কাজ। তাই তাঁদের ভরসা এখন অনলাইন শপিং। অনলাইনের মাধ্যমে শপিং রোদ, বৃষ্টি ও যানজটে বাইরে যেতে হয় না। পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত পণ্য যেকোনো সময়। দাম ও গুণেও পিছিয়ে নেই সেসব পণ্য।

বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইজমা শ্রাবন্তী বলেন, বর্তমানে ঢাকায় প্রচণ্ড গরম ও যানজটে মার্কেটে গিয়ে পণ্য কেনা রীতিমতো যুদ্ধের কাজ। তাই অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য কেনাকাটা করেছি।   বর্তমানে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন বিক্রেতা শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, বাচ্চাদের পোশাক, লিপস্টিক, নেইলপলিশ, থ্রিপিসসহ সব ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন। সেসব পণ্য দেখে অর্ডার করলেই দরজায় এসে দিয়ে যাচ্ছেন ‘ডেলিভারিম্যান’।

অবশ্য সেসব পণ্য ডেলিভারিতে কোনো কোনো অনলাইন বিক্রেতা ৫০ থেকে ১০০ টাকা অতিরিক্ত নিচ্ছেন। আবার কোনো প্রতিষ্ঠান ফ্রি ডেলিভারি দিয়ে যাচ্ছ্নে বলে জানান তিনি।

রেজোয়ান নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, অফিসে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হয়। সপ্তাহে শুক্রবার ছুটি থাকলেও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়, বাইরে গিয়ে শপিং করাটা হয়ে ওঠে না। তাই অনলাইনের মাধ্যমে শপিং করে থাকি বেশির ভাগই।

পলাশ সিপাহী বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী বাসায় বসে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটে দেখি কী পণ্য উঠেছে। সেগুলো দেখে অর্ডার করি। দু-তিন দিনের মধ্যে সেসব পণ্য হাতে পেয়ে যাই। তবে পণ্যগুলোর গুণাগুণ অনেক ভালো।   স্বপ্ন নামের এক ছাত্রী জানান, বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যেম মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরা অর্ডার করেন। সেসব পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ করেন। এবার অনলাইন মার্কেট দারাজ বিডির মাধ্যমে একটি আই ফোন কিনেছেন। অর্ডার করার চার দিনের মধ্যে সেটা তিনি হাতে পেয়েছেন।

অনলাইনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইএমআইর (মাসিক কিস্তি) সুবিধা দেওয়ায় অনেকে আবার কেনাকাটায় আগ্রহী বেশি হচ্ছেন। কারো একটি ক্রেডিট কার্ড থাকলেই জিরো ইন্টারেস্টের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করতে পারছেন।

সে ক্ষেত্রে ক্রেতাকে অনলাইন মার্কেট ছয় থেকে ১২ মাসের ইএমআইর সুবিধা দিচ্ছে। অর্থাৎ একজন ক্রেতার পকেটে টাকা না থাকলেও মাসে মাসে ব্যাংকে কিস্তি দেওয়ার মাধ্যমে পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।

মনসুন অনলাইন শপার্সের কর্ণধার শরীফ সিহাব জানান, ঈদ উপলক্ষে তিনি অনলাইনের মাধ্যমে শাড়ি বিক্রি করছেন। তরুণীরা বেশি অর্ডার করছেন। পণ্যের গুণাগুণ অনেক ভালো ও বেচাকেনাও ভালো রয়েছে।