English Version
আপডেট : ১৬ মে, ২০১৮ ১১:১৮

অ্যাপে লেনদেনে চার্জ কমলো বিকাশের

অনলাইন ডেস্ক
অ্যাপে লেনদেনে চার্জ কমলো বিকাশের

গ্রাহকদের লেনদেন আরো বেশি সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ করতে বিকাশ চালু করেছে বিশ্বমানের মোবাইল অ্যাপ। অ্যাপ চালু উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে চার্জ হিসেবে হাজারে ৩ টাকা ৫০ পয়সা কমিয়ে ১৫ টাকা নিচ্ছে। সঙ্গে পার্সোনাল নম্বরে টাকা পাঠানোর ওপর চার্জ তুলে নেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিকাশের অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদির এসব তথ্য জানান। তিনি বিকাশের যাত্রা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত পথপাড়ি সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন। এরপর অ্যাপ ও তার ব্যবহার নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করেন প্রধান মার্কেটিং কর্মকর্তা নবৎ আলী।

কামাল কাদির বলেন, কম খরচে অর্থ লেনদেনের সুবিধা শুধু অ্যাপে পাওয়া যাবে। আর যারা অ্যাপের বাইরে লেনদেন করবেন তাদেরকে আগের হারেই টাকা গুনতে হবে। অর্থাৎ হাজারে সাড়ে ১৮ টাকা এবং পার্সোনাল নম্বরে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ফি হিসেবে ৫ টাকা গুনতে হবে।

তিনি বলেন, বিকাশ অ্যাপটি গত ২৫ এপ্রিল গুগল প্লে স্টোরে দেওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৪ লাখ গ্রাহক ডাউনলোড করেছেন।

বিকাশের সিইও বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ইটারনেট সুবিধার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ যারা ফিচার ফোন ব্যবহার করেন, তারাসহ সব গ্রাহক ইউএসএসডি (আনস্ট্রাকচার্ড সাপ্লিমেটারি সার্ভিস ডাটা) পদ্ধতিতে বিকাশের নানান সেবা গ্রহণ করছিলেন। এই পদ্ধতিতে লেনদেন সুবিধা কার্যকর রাখতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের আরো সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ সেবা দিতেই যুক্ত হয়েছে নানা সৃজনশীল ফিচার সমৃদ্ধ বিকাশ অ্যাপ।

তিনি বলেন, আপাতত চার্জ কমানোর কোনো পরিকল্পনা বিকাশের নেই। তবে ভবিষ্যতে এটা করা হতে পারে। তখন সাধারণ মানুষ সেই সুফল ভোগ করতে পারবেন।

কামাল কাদের বলেন, অ্যাপ চালু উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে চার্জ হিসেবে হাজারে ৩ টাকা ৫০ পয়সা কমিয়ে ১৫ টাকা নিচ্ছে। সঙ্গে পার্সোনাল নম্বরে টাকা পাঠানোর ওপর চার্জ তুলে নেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, হাজারে চার্জ হিসেবে যে সাড়ে ১৮ টাকা নেয়া হয়, তার ৭৭ শতাংশ এজেন্টদের পেছনে যায়, ৭ ভাগ যায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে। আর বাকি ১৬ ভাগ দিয়েই বিকাশ তার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এই ১৬ শতাংশ অর্থ দিয়ে অফিস খরচ, প্রযুক্তি খরচ, কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ খরচ, মেইটেন্যান্সসহ সব ধরনের খরচ মেটানো হয়।

এজেন্ট ও দোকানগুলোকে কেন চার্জের ৭৭ শতাংশ দেয়া হয়- সে সম্পর্কে তিনি বলেন, যেখান থেকে ক্যাশ-আউট বা ক্যাশ-ইন হচ্ছে, ওই দোকানদারদের তো ব্যবসা করার আরও অনেক সুযোগ আছে।  তারা চাইলে চানাচুর বিক্রি করতে পারে, মুড়ি বিক্রি করতে পারে। আবার সাবান, কোক বিক্রি করতে পারে। রিটার্ন যদি পর্যাপ্ত না হয়, তবে তিনি তো বিকাশের ব্যবসা করবেন না।