English Version
আপডেট : ৭ মে, ২০১৮ ১৪:০২

আবেদনের প্রেক্ষিতে বাচ্চু পেলেন দুদকের একসপ্তাহ সময়

অনলাইন ডেস্ক
আবেদনের প্রেক্ষিতে বাচ্চু পেলেন দুদকের একসপ্তাহ সময়

আব্দুল হাই বাচ্চুকে সোমবার (৭ মে) পঞ্চম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে দু’মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে সাতদিনের সময় দিয়েছে। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ১৫ মে। বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ আসার পর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। এর আগে, ব্যাংকটির সাবেক ১০ পরিচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৬টি মামলা করেন দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্যরা। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় এসব মামলায় আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে।

অনিয়মের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান শাখায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখায় ৩৮৭ কোটি টাকা, প্রধান শাখায় প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা ও দিলকুশা শাখায় ১৩০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়া অভিযোগের বাকি অংশের অনুসন্ধান দুদকে চলমান।

মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা আছেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলায় আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, মো. সেলিম ৮টি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি। তবে কোনও মামলায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু বা পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি।

২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে মোট সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর এই ব্যাংক নিয়ে তদন্তে নামে দুদক।

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করার পর পদত্যাগ করেন তিনি।