English Version
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:১১

আমদানি পর্যাপ্ত তবুও অস্থির ভোগ্যপণ্যের বাজার

অনলাইন ডেস্ক
আমদানি পর্যাপ্ত তবুও অস্থির ভোগ্যপণ্যের বাজার

চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত আমদানি স্বত্বেও শুধুমাত্র ডলারের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, চিনি এবং ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে এক থেকে দু'টাকা।

রমজানকে সামনে রেখে এসব পণ্যের এলসি খোলা হয়েছিলো কয়েক মাস আগে। এমনকি বন্দর থেকে খালাস হয়ে অধিকাংশ পণ্য ব্যবসায়ীদের গুদামে পর্যন্ত চলে গেছে। এ অবস্থায় দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছে ক্যাব। 

গত সপ্তাহে ছোলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৭৪ টাকা। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়েছে দু'টাকা করে। এপ্রিল মাসের শুরুতে ছোলার দাম ছিলো ৭০ টাকারও কম।

শুধু ছোলা নয়, দাম বেড়েছে রমজানের আরেকটি নিত্য প্রয়োজনীয় চিনিরও। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনি ৫৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে চিনির দাম কেজি প্রতি এক থেকে দেড় টাকা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, মাল চট্টগ্রাম পোর্টে চলে এসেছে। ভালো মানের ছোলাগুলো ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং মধ্যম ছোলা ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে আছে। প্রতিবছর রমজানের আগে মিলগুলোর সরবরাহটা স্বাভাবিক থাকে না। আর যদি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে তবে চিনির দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে বোতলজাত তেলের দাম না বাড়লেও ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি সয়াবিনের দাম দেড় টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে।   তবে রমজান মাসে যদি আমরা ঠিক মতো মাল পাই, তাহলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে যানান ব্যাবসায়ীরা।

হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে কয়েকদিনের ব্যবধানে ডলার প্রতি দাম বেড়ে যায় ৩ থেকে ৪ টাকা। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব পড়ে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। অথচ গত মার্চ মাস থেকেই দেশে আসতে শুরু করে রমজানকে সামনে রেখে খোলা এল সি'র আমদানি পণ্য।

এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা রোধে দ্রুত বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাব। রমজানে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ৬ থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্য তেল এবং পুরো মাসে দেড় লাখ টন ছোলার চাহিদা রয়েছে।