English Version
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০৭:০৫

গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা বীমা কোম্পানী

অনলাইন ডেস্ক
গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা বীমা কোম্পানী

মাদারীপুরের রাজৈরে গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর কর্মকর্তারা। এই বীমা কোম্পানির অধিক মুনাফার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন দরিদ্র মানুষ। অবশ্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

স্থানীয় বাসিন্দা বিলকিস বেগম জানান, অভাব অনটনের সংসারে একটু একটু করে জমানো টাকা থেকে বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানিতে একটি জীবন বীমা করেছিলেন ২০০৭ সালে। প্রতিমাসে কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন তিনি। ১০ বছর পর বীমার মেয়াদ শেষ হলেও লভ্যাংশ তো দুরের কথা পাচ্ছেননা মূল টাকাও। বিলকিস বেগম (বীমা কোম্পানির প্রতারণার শিকার) বলেন, ভবিষ্যতে কিছু টাকা পাবো এই বিশ্বাসে টাকা দেই, কই এখন তো আর টাকা পাই না।

শুধু বিলকিস বেগমই নন। তার মত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার গ্রামের সহজ-সরল মানুষ এই বীমা কোম্পানীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সঞ্চয়ের অর্থ খুইয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী। এলাকাবাসী জানায়, ২০০৪ সালের রাজৈর বাসস্ট্যান্ডের একটি ভবনের দোতলায় ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করে বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি।

এরপর ১০ বছরে দুই থেকে তিনগুণ লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে শুরু করে অর্থ। বীমার মেয়াদ শেষ হলে গ্রাহকরা টাকা ফেরত চাইলে নানারকম টালবাহানা শুরু করে অফিসের ব্যবস্থাপকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। গ্রাহকের তোপের মুখে পড়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন তারা।

অবশ্য, গ্রাহকের অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। মো. ওয়াহিদুল ইসলাম (জেলা প্রশাসক, মাদারীপুর) বলেন, সাধারণ জনগণকে জানাবো তারা যেন কোনভাবেই অধিক মুনাফার লোভে খোঁজখবর না নিয়ে এসব ফাঁদে পা না দেন।