English Version
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮ ১০:৫৪

ইলিশের বাজারে বৈশাখী উত্তাপ

অনলাইন ডেস্ক
ইলিশের বাজারে বৈশাখী উত্তাপ

জাটকা রক্ষা ও ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে বরিশালসহ দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদফতর।

তবুও বৈশাখকে ঘিরে বাজারে আসছে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ। দামও আকাশচুম্বী। নদী থেকে অবাধে ধরা হচ্ছে ইলিশ, পাশাপাশি হিমাগারে সংরক্ষণ করা ইলিশও বাজারে আসছে।

তবে মৎস্য অধিদফতর বলছে, মার্চ ও এপ্রিল দেশের বিভিন্ন অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। তবে ওই এলাকার বাইরে ইলিশ ধরা যাবে। মূলত সেসব এলাকা থেকেই বাজারে ইলিশ আসছে। কিন্তু জাটকার ক্ষেত্রে বিষয়টি অবৈধ। কারণ সব স্থানেই এ সময় জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ভিবিন্ন বাজার ঘুরে ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। বড় আকারের ইলিশের সঙ্গে মাঝারি, ছোট ও জাটকা মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে এসব বাজারে। মাছ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা হিমাগারে সংরক্ষণ করা ইলিশ বিক্রি করছেন। পাশাপাশি নদী থেকে ধরা ইলিশও আসছে প্রচুর, যা বাজারে তাজা মাছ হিসেবে আরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে ইলিশ বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ইলিশের বাজারে বৈশাখের উন্মাদনা চলছে। অনেকেই ইলিশ কিনতে শুরু করেছেন। তাই দাম একটু বেশি। তবে বড় ইলিশের তুলনায় ছোট ও মাঝারি ইলিশের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বড় আকারের এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। তবে দুই সপ্তাহ ধরে এই আকৃতির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়। ৮০০ গ্রাম ওজনের এক পিস বিক্রি হয় এক হাজার টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ওজনের এক পিস ইলিশ বিক্রি হয় ৭০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়। ৫০০ গ্রাম ওজনের এক পিস ইলিশ বিক্রি হয় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাটকাও বিক্রি হচ্ছে অবাধে, যা কেজিপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

তবে দেশের ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকার মৎস্য-বণিক সমবায় সমিতির নেতার বলেন, ২ মাসের নিষাধাজ্ঞার কারণে বস্তুত বেকার এখানকার ব্যবসায়ীরা। বৈশাখে মজুদ ইলিশের ওপরই আমাদের ভরসা করতে হবে। অন্যবারের তুলনায় এবার ইলিশের চাহিদা কম।