English Version
আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৩:০৪

আগামী মাসে শুরু হচ্ছে এলএনজি আমদানি

অনলাইন ডেস্ক
আগামী মাসে শুরু হচ্ছে এলএনজি আমদানি

দেশের শিল্পায়নে গ্যাসের সংকট দূর করতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে এলএনজি আমদানি। এজন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ দিকে।

অবৈধ গ্যাস সংযোগে সিস্টেম লস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমদানি করা এই দামি জ্বালানির ব্যবস্থাপনা নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে। ভাসমান টার্মিনালের পরিবর্তে গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া স্থলভাগে করা হলে খরচ কম হতো বলেও মত আছে বিশেষজ্ঞমহলে।   ২০১০ সালে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ধীরগতিসহ নানা জটিলতা পেরিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সরকারের ফার্স্ট ট্র্যাক এই প্রকল্পটি।

তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের-পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করতে কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূল থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি।

২৩ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাস প্রক্রিয়াকরণের ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় গ্রিডে এই গ্যাস পৌঁছে দিতে এরই মধ্যে সমুদ্রের নীচ দিয়ে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন বসেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আগামী মাসের শুরুতেই এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে মিলবে জানিয়ে বলছেন, গ্যাস ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন না হলে মূল্যবান এই জ্বালানি বহুমুখী সংকট তৈরী করবে।   বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা আশা করছি মে-এর সপ্তাহে প্রথম চালান চলে আসবে। তবে এর সুবিধা বেশি। অসুবিধা হলো আমাদের একটু রক্ষণশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে চোরাই লাইন বন্ধ করতে হব। শিল্পখাতে স্থবিরতা দূর করতে এই গ্যাস ব্যবহারে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকেও নিশ্চয়তা জরুরী বলে জানান তিনি।টি

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগাসিপিকেশন ইউনিট এটার অনেক সমস্যা রয়েছে। প্রথম এটার সাইজ ছোট। যখন ঘুর্ণিজড় আসবে তখন সেটা ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। আমদানি করা এলএনজি দেশিয় গ্যাসের সাথে মিশ্রণের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই জ্বালানি পণ্যটির দাম সাধ্যের মধ্যে রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ।