English Version
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২১:৪২

৫০ হাজার টন চিনি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক
৫০ হাজার টন চিনি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন

৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এই চিনি আমদানি করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২১১ কোটি টাকা। আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিগ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, লন্ডনের মেসার্স ইডিএনএফ ম্যানসুগার সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দুটি চালানে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৭০ মার্কিন ডলার করে ৫০ হাজার টন চিনি আমদানিতে খরচ হবে ২১১ কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। জানা যায়, মজুদ কমে যাওয়ায় দ্রুত চিনি আমদানি করতে মনোযোগী এখন সরকার; কেননা দেশের চিনিকলগুলোর চিনি বাজারে আসতে জানুয়ারি মাস লেগে যেতে পারে। বাংলাদেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এর ৭ থেকে ৮ শতাংশ দেশের ১৫টি চিনিকল উৎপাদন করে। ফলে চাহিদা মেটাতে চিনি আমদানি করতে হয়। এদিকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোর জন্য সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড থেকে গার্বেজ ডাম্প ট্রাক কেনার জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের নীতিগত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সার সংরক্ষণের জন্য ১৩টি বাফার গুদাম নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মোস্তাফিজুর। মোস্তাফিজুর জানান, এডিবির অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নাধীন ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট প্রোজেক্ট ফর মুহুরি ইরিগেশন প্রোজেক্ট’ প্রকল্পের ‘প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন কনসালটেন্ট’ শীর্ষক একটি প্যাকেজের দর বৃদ্ধির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। তিনি জানান, নতুন করে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বেড়ে ওই প্যাকেজের খরচ দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা। আগে এই প্যাকেজের খরচ ছিল ৫৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বিমান মন্ত্রণালয়ের অধীন কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (১ম পর্যায়) আওতায় এলজিইডিকে ডিপোজিট ওয়ার্কস হিসেবে দেওয়া কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর উপর কস্তুরী ঘাটে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ প্রিস্ট্রেসড বক্স গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এমইএএল স্পেক্টা জয়েন্ট ভেঞ্চার ১৭২ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ পেয়েছে। খুলনা-মংলা মহাসড়কের বাবুর বাড়ি সংযোগস্থল থেকে বাগেরহাট জেলার রামপালে নির্মাণাধীন মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুই লেইন বিশিষ্ট সংযোগ সড়ককে চার লেইনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে ধীরগতিসম্পন্ন যানবাহন চলাচল উপযোগী সড়ক নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।  সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড ১১৯ কোটি ৫৫ লাখ ২৪ হাজার টাকায় এই সড়ক উন্নয়নের কাজ করবে বলে অতিরিক্ত সচিব জানান। তিনি বলেন, রাজউক বাস্তবায়নাধীন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর অংশে অভ্যন্তরীণ ব্রিজ নির্মাণ, অবশিষ্ট রাস্তা নির্মাণ এবং প্লট পিলার স্থাপনের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পাদনের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। নৌ বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান ৫৬১ কোটি ২৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকায় এই কাজ করবে।