English Version
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৩:০০

চাল আমদানিতে কৃষকের কোনো ক্ষতি হবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
চাল আমদানিতে কৃষকের কোনো ক্ষতি হবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় চাল আমদানির পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করেছে। এটা সঠিক।

আমদানির প্রয়োজন ছিল না। আপতকালিন সমস্যা সমাধানে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাময়িক সময়ের জন্য চাল আমদানির উপর ট্যারিফ কমানো হয়েছে। আবার যখন উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন হবে, ট্যারিফ আগের অবস্থায় চলে যাবে।   জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের ৭১ বিধিতে আনিত নোটিশের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্তির দেশ। আমরা রফতানি করার অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু আকস্মিকভাবে হাওরে বন্যা হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কিছু কম হয়েছে। তারপরও যেটুক ঘাটতি হয়েছে, সেই ঘাটতি মোকাবেলার জন্যই আমদানি করার সিদ্ধান্ত হয়।  

আমদানির কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এবার স্থানীয় বাজার থেকে খাদ্য দ্রব্য ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করছিলাম ধান ৭ লাখ মেট্রিক টন, সিদ্ধ চাল ৭ লাখ মেট্রিক টন, আর আতপ চাল ১ লাখ মেট্রিক টন। মোট ১৫ লাখ মেট্রিক টন। যেহেতু মজুদ হয়নি আর স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয় করতে পারিনি। সেকারণে আমদানিটা বেশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মুহূর্তে চালের কোন সংকট নেই বলেও তিনি জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চাল আমদানি নিরুসাহিত করতে আগে দুই দফায় ২৮ শতাংশ ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার যখন বন্যার সমস্যা হল তখন ১৮ শতাংশ ট্যারিফ কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। পরে আবার শুধু হিসাব রাখার জন্য ২ শতাংশ ট্যারিফ রেখে ২৬ শতাংশ টেরিফই বাদ দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এখন প্রাইভেট সেক্টর খাদ্য আমদানি করে। এখন খাদ্যে কোন সমস্যা নেই। সাময়িক সময়ের জন্য ট্যারিফ কমিয়েছি। কারণ কৃষক যাতে অধিক পরিমাণ কৃষি দ্রব্যাদি উৎপাদন করতে পারে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। অতিরিক্ত চাল যাতে আমদানি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে অত্যন্ত সর্তকতার সাথে সাময়িক সময়ের জন্য ট্যারিফ কমিয়েছি। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে এটা থাকবে না। তাই চাল আমদানিতে কৃষকের কোনো ক্ষতি হবে না।  

চাল মজুদ ও আমদানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ১৫ লাখ টন চাল ৫ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। আমাদের চাহিদা মেটানোর জন্য ২৮ লাখ টন চাল প্রয়োজন হবে। মজুদ আছে ৪ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন, আর বন্দরে খালাসের অপেক্ষ ১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। মোট মজুদ ৬ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন।