English Version
আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০৭:২২

শেষ মুহূর্তে পশুর হাটে উপচে পড়া ভীড়

অনলাইন ডেস্ক
শেষ মুহূর্তে পশুর হাটে উপচে পড়া ভীড়

আগামীকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। ফলে শেষ মুহূর্তে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারাদেশের পশুর হাটগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়। হাটের ইজারাদাররা জানান, বেচাকেনা চলবে শুক্রবারসহ ঈদের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। অবশ্য এবার চাহিদার তুলনায় হাটগুলোতে সরবরাহ একটু বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বৈধভাবে ভারতীয় গরু আনার সুযোগ দেয়ায় হাটগুলোতে গতবারের তুলনায় এবার ভারতীয় গরু উঠেছে বেশি। তবে বরাবরের মতো এবারও হাটগুলোতে দেশি গরুর সরবরাহও বেশি এবং ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়ও রয়েছে শীর্ষে। এদিকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার পশু কোরবানীর টার্গেট ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৯টি ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৭টিসহ ১৬টি অস্থায়ী হাট ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ২৮৬ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে বলে দুই সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া প্রশাসনিক আদেশে খাস আদায়ের মাধ্যমে আরো ৬টি হাট ইজারা দিয়েছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং দক্ষিণে সারুলিয়া ও উত্তরের গাবতলী স্থায়ী হাটসহ রাজধানীতে এবার হাট বসেছে ২৪টি। ঈদের দিনসহ মোট ৪দিনের জন্য এসব হাটে পশু কেনাবেচার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক বলেন, দেশে কোরবানি উপযোগী গরু ও মহিষ রয়েছে সাড়ে ৪৪ লাখ। আর ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ। সব মিলিয়ে এবার ১ কোটির ওপরে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এবার কোরবানীর পশু সংকট হবে না উল্লেখ করে আইনুল হক বলেন, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। হাটগুলোতে যাতে মোটাতাজাকরণে কৃত্রিম হরমোন বা ক্ষতিকারক ওষুধ সেবন করা গরু আসতে না পারে সেজন্য মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। হাটে ঢোকার পথে ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা গরু, ছাগল ও মহিষের শারীরিক পরীক্ষা করছেন বলে তিনি জানান। হাজারীবাগ ঝিগাতলা মাঠের পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় এখানকার বেশিরভাগ অংশই ভরে গেছে কোরবানীর গরু, মহিষ ও ছাগলে। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় এবার অপেক্ষাকৃত ছোট গরুর চাহিদা একটু বেশি। কোরবানির জন্য মানুষ ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার গরুই পছন্দ করছেন। এখানে ১০ থেকে ১২ হাজার গবাদিপশু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে হাটের ইজারাদার অহিদুর রহমান ওয়াকিব জানান। যশোর থেকে হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী আলমগীর বলেন, ভারতীয় গরু আসায় এবং হাটে পশুর তুলনায় ক্রেতা কম থাকায় এবার দাম তুলনামূলক কম। তবে এখনো সঠিক দাম মূল্যায়ন করা সম্ভব না। কারণ শেষ মুহুর্তে ক্রেতা-বিক্রেতার অবস্থা অনুযায়ী দাম বাড়তে বা কমতে পারে। রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন মৈত্রি সংঘের মাঠের ইজারাদার আব্দুল লতিফ জানান, এই হাটে ৫-৬ হাজার পশুর জন্য জায়গা করা হয়েছে। এখানে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সন্তোষজনক। গতকাল থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আজ থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে বলে তিনি মনে করছেন। মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, তিনি মঙ্গলবার রাতে ১৬টি ছাগল হাটে তুলেছেন বিক্রির জন্য।