English Version
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ১০:২৭

চলে গেলেন ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা আলী বেহরুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
চলে গেলেন ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা আলী বেহরুজ
ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা আলী বেহরুজ

ঢাকা: দেশের অন্যতম পুরনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যাান মির্জা আলী বেহরুজ ইস্পাহানি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহ…রাজেউন)।

গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকার এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আলী বেহরুজ ইস্পাহানি। চা, টেক্সটাইল, খাদ্য, পাট, শিপিংসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় দুইশ বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসা এম এম ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা আলী বেহরুজ।  

ইস্পাহানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, মির্জা আলী বেহরুজ ইস্পাহানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাদ আসর তার প্রথম নামাজের জানাযা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় নামাজে জানাযা বাদ মাগরিব পুরান ঢাকার হোসনি দালান মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।   দেশের অর্থনীতি বিষয়ক জাতীয় দৈনিক ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের উদ্যোক্তা পরিচালক আলী ইস্পাহানি এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন আলী বেহরুজ। তিনি ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোহাম্মদ হাশেম ইস্পাহানি ১৮২০ সালে পারস্যের ইস্পাহান শহর থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে এসে ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ইস্পাহানিদের ব্যবসা ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

হাজী হাশেমের দৌহিত্র মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি তার ব্যবসায়িক সদর দপ্তর মাদ্রাজে স্থানান্তর করেন। তিনি ঢাকায় শাখা খোলেন ১৮৮৮ সালে। আর তার তিন ছেলে মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি, মির্জা আবুল হাসান ইস্পাহানি ও মির্জা মাহমুদ ইস্পাহানি ১৯৩৪ সালে এমএম ইস্পাহানি নামে একটি লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। মির্জা আবুল হাসান ইস্পাহানি পরে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ৫০ এর দশকে পাকিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪৭ সালের পর ইস্পাহানি পরিবারের কর্পোরেট হেড অফিস চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়। কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন আহমেদ ইস্পাহানির ছেলে মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি। তার সময়ে ইস্পাহানি কোম্পানি সিলেটের চা বাগানগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করে। ইস্পাহানি এক সময় ভারতবর্ষের শীর্ষ পাট রপ্তানিকারক কোম্পানিও ছিল।

ঢাকায় ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতাল এবং এমএ ইস্পাহানি ইন্সটিটিউট অব অফ্থ্যালমিলজি ছাড়াও বাংলাদেশে বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে ইস্পাহানি পরিবার।

ইস্পাহানি গ্রুপের ক্রীড়াপ্রেমী চেয়ারম্যান মির্জা আলী বেহরুজ ইস্পাহানির মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শায়েস্তা খান এবং সংস্থার সকল কর্মকর্তা ও সদস্য গভীর শোকপ্রকাশ করে মরহুমের পরিবারবর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।