English Version
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৯:০৬

দেশে ভারতীয় আদা-রসুনের আমদানি বেড়েছে

অনলাইন ডেস্ক
দেশে ভারতীয় আদা-রসুনের আমদানি বেড়েছে

দেশে আদার-রসুন চাহিদা বাড়তির দিকে। ফলে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য দুটি আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। সরবরাহ বাড়ায় বর্তমানে তাই স্বাভাবিক রয়েছে আদা-রসুনের দাম।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগে এ বন্দর দিয়ে খুব একটা আদা-রসুন আমদানি হতো না। বর্তমানে বাজারে ইন্দোনেশিয়া ও চীন থেকে আমদানিকৃত আদা-রসুনের দাম বেশি। এ অবস্থায় ভারতীয় আদা ও রসুনের চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য দুটির আমদানি বেড়েছে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৩০ টন ৬০০ কেজি আদা আমদানি হয়। আগস্টে ছয়টি ট্রাকে ৯৭ টন ৪০০ কেজি রসুন আমদানি হয়। সেপ্টেম্বরে দুটি ট্রাকে ২৯ টন আদা ও চারটি ট্রাকে ৮০ টন ৫০০ কেজি রসুন আমদানি হয়েছে। অক্টোবরে ছয়টি ট্রাকে ১১৮ টন ৩০০ কেজি রসুন আমদানি হয়েছে। নভেম্বরে পাঁচটি ট্রাকে ১০১ টন ৫০০ কেজি রসুন ও দুটি ট্রাকে ৩২ টন ৬০০ কেজি আদা আমদানি হয়। 

চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে পাঁচটি ট্রাকে ৮৬ টন ৮০০ কেজি রসুন ও তিনটি ট্রাকে ৪৭ টন ৫০০ কেজি আদা আমদানি হয়েছে। বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত রসুন প্রতি কেজি প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরায় একই পরিমাণ পণ্য ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। আর দেশী রসুন প্রকারভেদে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে গতকাল হিলির বিভিন্ন বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় আদা প্রকারভেদে পাইকারিতে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। একই পরিমাণ পণ্য খুচরা বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে লেনদেন হয়। বর্তমানে বাজারে নতুন দেশী কাঁচা আদা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. হারুন উর রশীদ হারুন জানান, সাধারণত ইন্দোনেশিয়া থেকে আদা এবং চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়ে থাকে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগে তেমন আদা ও রসুন আমদানি না হলেও বর্তমানে এর পরিমাণ বেড়েছে। দেশের বাজারে সরবরাহ কমায় কিছুদিন পূর্বে পণ্য দুটির দাম বেড়ে যায়। এ অবস্থায় বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা-রসুনের আমদানি বাড়িয়েছেন। 

বর্তমানে সরবরাহ চাপে পণ্য দুটির বাজারদর সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে আদা ও রসুন প্রতি টন প্রকারভেদে ৫০০ থেকে ৫৫০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। আর কাস্টমসে প্রতি টন আদায় ৭০০ ও রসুনে ৯০০ ডলার মূল্যে শুল্ক পরিশোধ করা হচ্ছে। দেশের বাজারে চাহিদা অনুযায়ী হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য দুটি আমদানি করা হবে বলে জানান তিনি।