English Version
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০১:৩৪

‘কৃষি শিল্পে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার’

অনলাইন ডেস্ক
‘কৃষি শিল্পে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার’

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রসারের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ : বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ সেমিনার আয়োজন করে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, নতুন করে যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলোতে কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। পঁচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণে হিমাগার তৈরিসহ অন্যান্য কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আমু বলেন, টেকসই শিল্পখাত বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে সরকার জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ ঘোষণা করেছে। সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে প্রণিত এ নীতি শিল্পখাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এ নীতি ঘোষণা করা হলেও শিল্পায়নের স্বার্থে এতে নতুন কিছু সংযোজনের প্রয়োজন হলে সরকার এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেবে। শিল্পখাতে গতি আনতে নতুন শিল্পনীতির আলোকে সম্ভাবনাময় শিল্পগুলোতে ক্লাস্টারের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি প্রযুক্তি স্থানান্তরের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ওষুধ, চামড়া, হালকা প্রকৌশল, ইলেক্ট্রনিক, প্লাস্টিক, কেমিক্যালসহ উদীয়মান শিল্পখাতগুলোর উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

ডিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।

এতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী সদস্য নাভাস চন্দ্র মণ্ডল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ইয়াসমিন সুলতানা, পলিসি রিসার্স ইন্সটিটিউটের ঊর্ধ্বতন গবেষক ড. আশিকুর রহমান, নারী শিল্প উদ্যোক্তা কাজী মুন্নি, ডিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক খায়রুল মজিদ, শিল্প উদ্যোক্তা খন্দকার শহীদুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন।

সেমিনারে বক্তারা জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এর বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, এ নীতিতে উচ্চ অগ্রাধিকার ও অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করায় দেশে শিল্পায়নে গতি আসবে। তারা শিল্পনীতির যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য একে একটি আইনি কাঠামোতে রূপ দেয়ার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের প্রসারে শিল্পনীতির আলোকে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন সেল গঠনের তাগিদ দেন।

বক্তারা অতীতে প্রণিত শিল্পনীতিগুলোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, শিল্পনীতির সাফল্য এর বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে। নতুন শিল্পনীতিতে সুনির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় অর্থনীতিতে এর সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তারা জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এর আলোকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন, শ্রমিক নিরাপত্তা জোরদারে শতভাগ শিল্প কারখানাকে বীমার আওতাভুক্তকরণ এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে স্বল্পমূল্যে জমি, জ্বালানি ও ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।