English Version
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:০২

‘অন্য খাতের চেয়ে পোশাকে প্রণোদনা দ্বিগুণ হওয়া উচিত’

অনলাইন ডেস্ক
‘অন্য খাতের চেয়ে পোশাকে প্রণোদনা দ্বিগুণ হওয়া উচিত’

গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতের অবদানের কারণে তৈরি পোশাক রফতানিমুখী শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। তবুও এ খাতের পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা নেই। অবদান বিবেচনা করলে অন্যান্য খাতের তুলনায় এ খাতে প্রণোদনা দ্বিগুণ হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের পরিবেশবান্ধব উৎপাদনবিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পোশাক এক্সেসরিজ প্রস্তুত ও রফতানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রণোদনার বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী। 

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, পোশাক খাতের ৯৫ এক্সেসরিজই এখন সরবরাহ করেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। বছরে প্রচ্ছন্ন রফতানি হিসেবে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি আয় হচ্ছে। এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। এ কারণে প্রয়োজনে পোশাক খাতে দেওয়া নগদ সহায়তা অর্ধেক কর্তন করে হলেও তা এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বিশেষ করে ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এক্সেসরিজ শিল্পকে কার্যকর সহায়তা দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিজিএপিএমইএ সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, বর্তমানে দেশে এ খাতের দেড় হাজার কারখানা মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশই স্থানীয়ভাবে জোগান দিচ্ছে।

এছাড়া ১০০ কোটি ডলারের এক্সেসরিজ রফতানি হচ্ছে। এ শিল্পে মূল্য সংযোজনের হার ৪০ ভাগেরও বেশি। এর পরও কোনো প্রণোদনা না থাকা দুর্ভাগ্যজনক।