English Version
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৬ ০৯:৪৮

২০১৬-১৭ অর্থবছরের শুরুতেই রফতানি আয়ে ধাক্কা

অনলাইন ডেস্ক
২০১৬-১৭ অর্থবছরের শুরুতেই রফতানি আয়ে ধাক্কা

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে রপ্তানি আয়। ২০১৫-১৬ রপ্তানি আয়ে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া গেলেও ২০১৬ অনেকটা খুঁড়েই চলছে, ভাবনায় অর্থনীতিবিদরা। 

গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে রফতানি আয় কমেছে প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৩৭ কোটি মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ২৫৩ কোটি ৪৩ লাখ (২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন)। অথচ এক মাস আগে অর্থাৎ জুনে প্রায় ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রফতানি হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ডলারের পণ্য। আর গত বছরের জুলাই মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২৬২ কোটি ২৫ লাখ (২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন) ডলার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে উভেন এবং পোশাক রফতানি থেকে। এ দুই খাতে রফতানি কমায় সার্বিক রফতানিও কমেছে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, জুলাই মাসে ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকায় কারণে কারখানার উৎপাদন কম হয়েছে।  

গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ২২২ কোটি ডলার সমপরিমাণ থৈরি পোশাক রফতানি হলেও গেল জুলাইয়ে তা ২১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে নেমে এসেছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ কম। জুলাইয়ে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০৩ কোটি ডলার। একই সঙ্গে এ মাসে উভেন থেকে বাংলাদেশ রফতানি আয় কমেছে ১৪৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। 

তবে বাইরে পাটের রফতানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ খাতের সব ধরনের পণ্যের আয়ও বেড়েছে। 

মাছ, চিংড়িসহ হিমায়িত সব পণ্যের আয় কমেছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। এছাড়া ওষুধের ১৯ দশমিক ৪৫, চায়ের ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমেছে দুই দশমিক ২৬ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি ও রফতানি যদি একই গ্রাফে আগায়, তবেই সে বিশ্লেষণ থেকে রফতানি আয় বৃদ্ধির নতুন পরিকল্পনা পর্যালোচনা করতে সহজতর হবে।