English Version
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০১৬ ১৭:০৩

অর্থ অাদায়ে সহযোগিতা চেয়ে ফিলিপিন্সকে নিউইয়র্কের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
অর্থ অাদায়ে সহযোগিতা চেয়ে ফিলিপিন্সকে নিউইয়র্কের চিঠি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থ অাদায়ে সহযোগিতা করতে ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক। ফেডের জেনারেল কাউন্সেল টমাস ব্যাক্সটার ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেনারেল কাউন্সেল এলমোর ও কাপুলেকে এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ম্যানিলার রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটির জুপিটার শাখায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্টে পরিচয় গোপন করে পৃথক নির্দেশনায় চুরির ওই বিপুল অংকের টাকা পাঠানো হয়।

টমাস ব্যাক্সটার চিঠিতে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা করতে ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ‘সব ধরনের কার্যকর’ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। অর্থ স্থানান্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রিজাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল, অথচ তাদের কয়েকজন কর্মকর্তার হাত দিয়েই বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়।

এর মধ্যে চারটি বার্তার মাধ্যমে ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়া হয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। আর একটি বার্তার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চুরির ছয় মাসেও ঘটনার নেপথ্য হোতাদের চিহ্নিত করা যায়নি এবং ফিলিপাইনে যাওয়া টাকাও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চুরির জন্য অভিযুক্ত কাউকে এ সময়ে বিচারের মুখোমুখিও করা হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে আলোচিত এ চুরির ঘটনা মিইয়ে যেতে বসেছে।