English Version
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০১৬ ১৭:২৩

চাঁদাবাজির কারনে গোস্তের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদাবাজির কারনে গোস্তের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছেন, গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদার ও মুজিবর বাহিনীকে প্রতিরোধ করা না গেলে গোস্তের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।

রোববার (১৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  গাবতলী হাটের ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা ও মুজিবর বাহিনীর চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলন রবিউল আলম বলেন, গাবতলী গরুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা ও বিচারের নামে বছরে অন্তত একশ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়। হাটের ইজারাদার ও তার নিযুক্ত মুজিবর বাহিনী মাংস ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে ওই চাঁদা আদায় করে আসছে। এই চাঁদাবাজ ও জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, আদালতের আদেশ ও সিটি কর্পোরেশনের শর্ত কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। ইজারাদার ও তার মুজিবর বাহিনী নিরীহ মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। অথচ এই টাকায় সরকার ও জনগণের কোনো কল্যাণ হচ্ছে না। তৈরি হচ্ছে মাস্তান ও সন্ত্রাসী বাহিনী।

তিনি আরও বলেন, বেপরোয়া এই জুলুম ও চাঁদাবাজির ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার ভূমিকা রহস্যজনক। হাট পর্যবেক্ষণ কমিটি করার কথা থাকলেও তা হয়নি।

রবিউল আলম বলেন, গাবতলী গরুর হাটে বছরে অন্তত ৫০ লক্ষ গরু বিক্রি হয়। গরু প্রতি ইজারাদার ও তাদের বাহিনী জুলুম এবং বিভিন্ন কৌশলে অতিরিক্ত ২০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকে। প্রতিদিন এই হাটে গড়ে অন্তত ১০,০০০ এবং কোরবানির সময় ৫ লক্ষ গরু বিক্রি হয়।

তিনি বলেন, অবিলম্বে এই জুলুমবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। যার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অনেকের মধ্যে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু, শেখ মো. আব্দুল বারেক, সামিম আহম্মেদ, কাজী আনোয়ার হোসেন, খলিলুর রহমান, সাহে আলম, হাজী আনোয়ার হোসেন, ফরিদ আহম্মেদ, জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।