English Version
আপডেট : ৯ জুলাই, ২০১৬ ১২:৪৫

পাউন্ডের দাম কমাতে বিপাকে প্রবাসী

অনলাইন ডেস্ক
পাউন্ডের দাম কমাতে বিপাকে প্রবাসী
ব্রিটেন ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে আসার পর থেকে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৩ জুন এই ঐতিহাসিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্রিটিশ জনগন ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর থেকে বিশ্ব বাজারে পাউন্ডের দরপতন হতে থাকে। 
 
পাউন্ডের দাম পড়ে গেলে ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা চরম দুঃচিন্তায় পড়ে। ২২ জুন যেখানে ১ পাউন্ডে পাওয়া যেত ১১৬ টাকা সেখানের গণভোটের পরদিন থেকে পাওয়া যাচ্ছিল ১০৫-১০৭টাকা। এখন আরো কমে দাড়িয়েছে১০১-১০২টাকা। এতে করে প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠাতে বাড়তি পাউন্ড খরচ করতে হচ্ছে।
 
ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দফায় এশিয়ার মুদ্রা বাজারে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দরপতন হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই দরপতনের কারণে ৩১ বছরে পাউন্ডের মূল্যমান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা বিরাজমান থাকায় এই দরপতন হয়েছে। বুধবার ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১.২৭৯৮ ডলার যা ৩১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
 
এর আগে গত ২৩ জুন বেক্সিটের পক্ষে গণভোটের রায় আসার পরও পাউন্ডের মূল্যমান ৩১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনিয়োগকারীরা যখন তাদের পুঁজির জন্য সেইফ হ্যাভেন খুঁজছেন তখন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বন্ড ইয়েল্ডের (বণ্ডের বিপরীতে ঋণদাতাকে যে মুনাফা দেওয়া হয়) পতন হয়।
 
আর তাতে নতুন করে পাউন্ডের দাম কমে যায়। কেবল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বন্ড ইয়েল্ডই নয়, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সরকারের বন্ডের ইয়েল্ডও রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। বিনিয়োগকারীরা তথাকথিত সেইফ হ্যাভেনে বিনিয়োগ করতে চাওয়ায় অর্থাৎ ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠায় বন্ড ইয়েল্ডের পতনও অব্যাহত রয়েছে।