English Version
আপডেট : ৯ জুন, ২০১৬ ১৪:৩৬

রপ্তানি আয়ে চামড়া ভবিষ্যতে পোশাকেও ছাড়াবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
রপ্তানি আয়ে চামড়া ভবিষ্যতে পোশাকেও ছাড়াবে

চামড়া শিল্প ভবিষ্যতে রপ্তানি আয়ে তৈরি পোশাক খাতকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (ডিসিসিআই) ‘সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের নীতি নির্ধারণে সহায়তার ক্ষেত্রে অ্যাক্রিডিটেশন একটি বৈশ্বিক হাতিয়ার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ দূষণসহ মানের অভাবে বিদেশিরা আমাদের চামড়া কিনতে চাইতো না। তবে সাভারে চামড়া শিল্প স্থানান্তরের ফলে আমাদের চামড়ার মান নিশ্চিত হবে। সেক্ষেত্রে আগামীতে গার্মেন্টসকে ছাড়িয়ে যেতে পারে চামড়া শিল্প।

বিশ্ববাজারে প্রতিযোগীতায় টিকতে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। তাই এ্যাক্রোডিটেশন বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষাকৃত নতুন ধারণা। এ্যাক্রোডেটিশন হচ্ছে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গুণগত মান সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার একটা বিশ্ব স্বীকৃত পন্থা।

আমু বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের প্রসার ঘটাতে শুধুমাত্র এ্যাক্রোডিটেশন সনদ প্রদানের যোগ্যতা অর্জন যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি ইস্যুকৃত মান সনদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে আস্থা ধরে রাখা খুবই প্রয়োজন। আর এই লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরি স্থাপন, মান সনদ প্রদানকারী গবেষণাগারের গুনগতমানের বিষয়ে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হোসেন খালেদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক আবু আবদুল্লাহ, পরিচালক ডেভিড পল খন্দকার স্বপণ, অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন প্রমুখ।