English Version
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৬ ১৯:২১

দর্শনা বন্দরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

অনলাইন ডেস্ক
দর্শনা বন্দরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আন্তর্জতিক রেল বন্দর চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই ২৪ গুনবেশী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বিগত ৫ বছরে এ বন্দরে এত পরিমানের রাজস্ব আদায় হয়নি বলে জানিয়েছে দর্শনা কাষ্টমস শুল্ক কতৃপক্ষ।

এত বেশি রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি দেশের অগ্রহনী ভুমিকা পালনে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন দর্শনা আন্তজার্তিক রেল বন্দর কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার আবুল ইসলাম। ঢাকা-কোলকাতা যাতায়াতকারী একমাত্র মৈত্রী ট্রেনটিও দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশন হয়ে চলাচল করে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক কাষ্টমস সুপার মোস্তফা কামাল চৌধুরী  জানায়, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগেই লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে  ১৯ মে পর্যন্ত দর্শনা রেল বন্দর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৮ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ১ শত ৬ টাকা। যা  লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২৪ গুনেরও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে বিগত ৫ বছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্র ও আদায় পরিমান হলো,  ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয় ১১ কোটি ১১ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। বছর শেষে দেখা যায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মাত্র ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৬ শত ৫০ টাকা আদায় হয়।

২০১৩-১৪ অর্থ বছরের ১৯৫ কোটি টাকা লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়। এই অর্থ বছরেও লক্ষমাত্রায় পৌছাতে  পারেনি বন্দর টি। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১৯৩ কোটি ৯০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯ শত ৭৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩২ কোটি টাকা। ওই অর্থ বছরে লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে ৪০ কোটি ৮৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৯ শত ৪ টাকা রাজস্ব আদায় হয়।

২০১১-১২ অর্থ বছরে ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়। ওই অর্থ বছরেও লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে ৮ কোটি ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৩ শত ৪৮ টাকা আদায় হয়। এই তুলনায় দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দর চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগেই লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে রেকর্ড পরিমান রাজস্ব আদায় হয়েছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দর কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার আবুল ইসলাম বলেন, রেল বন্দরের পাশা পাশি দর্শনাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে উন্নিত করা হলে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। বর্তমানে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর দিয়ে এক র‌্যাকের (৪০ বগি) নিচে ভারত থেকে আমদানী করা মালামাল আনার কোন সুযোগ নেই। একসাথে ট্রেনের ৪০ বগি (এক র‌্যাক) মালামাল আমদানী করতে হলে বিপুল পরিমান অর্থের প্রয়জন।

এই কারণে ছোট খাটো আমদানী কারকদের ইচ্ছা থাকা সত্বেও কোন সুযোগ (স্থলবন্দর) না থাকায় তারা এই সীমান্ত দিয়ে মালামাল আনতে পারেনা। দর্শনাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করা হলে ভারত থেকে আমদানী করা মালামাল আনতে অন্য যে কোন বন্দরের চেয়ে গাড়ি (ট্রাক) ভাড়া অনেক কম গুনতে হবে আমদানী কারকদের।   

তিনি আরও জানান, দর্শনাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করতে হলে ভারতের অভ্যান্তরে মাত্র ৪ মিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করতে হবে। তাছাড়া দর্শনাকে স্থলবন্দর করার সকল অবকাঠামো ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যমান আছে। রেলবন্দরের পাশাপাশি দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে সড়ক পথে প্রতিদিন সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪ শ’ মানুষ ভারত বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে।