English Version
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৬ ২০:৩৭

বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য ২৪০ কোটি ডলার

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য ২৪০ কোটি ডলার

কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়ের লাঘামে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ২৪০ কোটি ডলার।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করায় ডিসিসিআই ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ক্যানচ্যাম) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেনওয়া পিয়ের লাঘামে বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও কানাডার বাণিজ্যিক সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বছরটিতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ গত ১৫ বছরের মধ্যে সব থেকে দ্রুত বেড়েছে। ২০০০ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৪০ কোটি ডলার। সেই হিসেবে ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে ২৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আছে ৪৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ কানাডাতে রফতানি করেছে ১৪০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে কানাডা রফতানি (বাংলাদেশের আমদানি) করেছে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যার ৮০ শতাংশই কৃষি পণ্য। বাংলাদেশ কানাডার তৃতীয় বৃহৎ রফতানি বাজার।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে কানাডায় গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করতে কোনো প্রকার শুল্ক দিতে হয় না। কানাডায় যারা খুচরা পোশাক বিক্রি করেন, তাদের বড় অংশই বাংলাদেশ থেকে পোশাক সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের পোশাক খাতের গুরুত্ব বৃদ্ধিতে এ খাতের শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তায় কানাডা সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, এক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে পৌঁছেছে এবং মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৬ ডলারে।

তিনি বলেন, রফতানির ক্ষেত্রে কানাডা বাংলাদেশের জন্য সপ্তম বৃহৎ রফতানি বাজার। যা সম্ভব হয়েছে গত এক দশক ধরে কানাডা অব্যাহতভাবে জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার কারণে।

ক্যানচ্যামের সভাপতি মাসুদ রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে আমদানি-রফতানির পরিমাণ বেড়েছে ১০০ শতাংশের ওপরে। ক্যানচ্যাম বিশ্বাস করে ২০২১ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এ জন্য প্রতিবছর ৪০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)-এর সভাপতি রূপালী চৌধুরী, বাংলাদেশ নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিনসেন্ট ভিভেনসিও টি বেনডালিওয়, নরডিক চেম্বারের সহ-সভাপতি রজার হোভার্ড, ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি এম এইচ রহমান, নেসার মাকসুদ খান, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি খ. আতিক-ই-রাব্বানী, পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক খায়রুল মজিদ মাহমুদ, আহ্বায়ক ক্যাপ্টেন নূরুল হক এবং ইতিহাদ এয়ারলাইন্স-এর জেনারেল ম্যানেজার হানিফ জাকারিয়া অংশগ্রহণ করেন।