English Version
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৬ ১৮:৫৬

বিনা দরপত্রে অর্ধকোটি টাকার সরবরাহে নয় ছয়

অনলাইন ডেস্ক
বিনা দরপত্রে অর্ধকোটি টাকার সরবরাহে নয় ছয়

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন অফিসে বিনা দরপত্রে ৫৭ লক্ষ টাকার সরবরাহ কাজে নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে ইপিআই কর্মসূচি সফল করনে আসবাবপত্র, ব্যাগ, সাইনবোর্ড সরবরাহে ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়।

স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট এক কর্মচারী ও সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা গোপন যোগসাজশে বিনা দরপত্রে নওগাঁ জেলার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান হেলালের মালিকানাধীন ‘এইচ, এম, ট্রেডার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে কাজটি দেয়া হয়।

‘এইচ এম ট্রেডার্স’র স্বত্ত্বাধিকারী মাহফুজুর রহমান বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খাগড়াছড়ির বাসিন্দা জুয়েল নামের এক ব্যক্তি তাঁর লাইসেন্সটি ব্যবহার করেছেন। কোন পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহবান না করাই স্থানীয় ঠিকাদাররা এই কাজের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেও পারেননি।

জানা যায়, অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে মোট বরাদ্দের অর্ধেক আসবাবপত্র, ব্যাগ ও কয়েকটি সাইনবোর্ড সরবরাহ করেই এরই মধ্যে সমুদয় বিল প্রদানের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জেলা পরিষদের নেজারত শাখা থেকেই কাজটি করা হচ্ছে। তাই কোন পত্রিকায় দরপত্র দেয়া হয়েছে কীনা অথবা কীভাবে কাজটি সম্পন্ন হবে; তা তাঁরাই জানবেন।

সিভিল সার্জন অফিসের এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরও জানান, শর্ত মোতাবেক মালামাল সরবরাহ না করার দায়ে ঠিকাদারকে নোটিশ করা হবে। তবে জেলা পরিষদের নাজির মো: সাইফুল্ল্যাহ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নিশিত নন্দী মজুমদার বলেন, পার্বত্য এলাকায় জেলা পরিষদের কাছেই স্বাস্থ্য বিভাগ ন্যস্ত। তাই প্রতিষ্ঠানটি যেকোন কাজ যেভাবে ইচ্ছে, সেভাবে করতে পারেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ জব্বার বলেন, লিখিতভাবে তিনি কিছুই জানতে পারেননি।