English Version
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৬ ১৪:৫০

মূসক আইন সংশোধনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান

নিজস্ব প্রতিবেদক
মূসক আইন সংশোধনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান

নতুন  মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইনের সংশোধন নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীরা । তাই এবার মূসক আইন সংশোধন কাজ হয়ে যাবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

মঙ্গলবার (১৭ মে)  ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কথা বলেন।

মতিঝিলের এফবিসিসিআই ভবনের কনফারেন্স রুমে ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অব মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, নতুন মূসক আইনের সংশোধনে ব্যবসায়ীদের জন্য এবার একটা সুষ্ঠ সমাধা বের হবে। মূসক আইন সংশোধনে সবুজ সংকেত পেতে যাচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি।

মূসক আইন সংশোধনের জন্য গত রোববার এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। ওই চিঠির সঙ্গে বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব যুক্ত করে এফবিসিসিআই তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন চেয়েছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মূসক আইন বিষয়ে তিন দফা চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।

গত ২৪ এপ্রিল পাঠানো প্রথম চিঠিতে মূসক আইনের সংশোধনী চাওয়া হয়েছিল। পরের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, নতুন চিঠিতে এফবিসিসিআই সব পর্যায়ে কর মুক্তির সীমা ২৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা করতে মূসক আইনের ২(৪৮) ধারা এবং ৩৬ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা লেনদেন পর্যন্ত ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর আরোপের জন্য ২(৫৭) ধারার সংশোধন চেয়েছে। এ দুটি ক্ষেত্রে ‘উল্লেখিত টাকার সীমা’ শব্দগুলো যোগ করলেই সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে। অনাদায়ী করের জন্য করদাতার সব আত্মীয়কে দায়ী করার বিষয়টি বাতিল করার দাবি করা হয়েছে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবে। এ জন্য ২(৯৭) ধারার ‘ক’ উপধারা থেকে ‘ব্যক্তির কোনো আত্মীয়’ কথাটি বাদ দেওয়ার দাবিসহ বেশকিছু প্রস্তাব করা হয়েছে চিঠিতে।