English Version
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৬ ১৬:৩৬

পোশাক খতের সংস্কার ধীর গতিতে হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
পোশাক খতের সংস্কার ধীর গতিতে হচ্ছে

বাংলাদেশের পোশাক খতের সংস্কার কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব পোশাক কারখানা পরিদর্শন করা এবং সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভাব হবে।

রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার (১৫) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান একর্ড নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ। একর্ড তিন বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন কর স্টিকটিং বাংলাদেশ একর্ড ফাউন্ডেশন।

রব ওয়েজ বলেন, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে কাজ শুরু করে তিন বছরে একর্ড ১ হাজার ৫৫০টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এরমধ্যে ৫৬ শতাংশ কারখানার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আর সাসপেন্ড (বন্ধ) করা হয়েছে ২৬টি কারখানা। চুক্তির শর্তানুযায়ী একর্ড ২০১৮ সাল পর্যন্ত কাজ করবে একর্ড।

তিন বছরে একর্ড অর্জন তুলে ধরে রব ওয়েজ বলেন, ইতিমধ্যে ১ হাজার ৫৫০টি কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। ৭৫টি নতুন তালিকাভূক্ত কারখানায় পরিদর্শন চলমান আছে। ১ হাজার ৪৫২টি ক্যাপস প্রকাশত হয়েছে। সেইফটি কমিটি কর্যক্রম শুরু করেছে। দেশ ২০০ উপরে সক্রিয় কর্মী রয়েছে।

রব ওয়েজ  আরও জানান, ৩২ হাজার ৭২৬টি বৈদ্যুতিক, ৩২ হাজার ৩৩টি অগ্নি এবং ১৯ হাজার ৪১৫টি কাঠামোগত সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে বৈদ্যুতিক ২৪ হাজার ৩৬৪টি, অগ্নি ১৬ হাজার ১৮১টি এবং কাঠামোগত সমস্যা ৭ হাজার ১৬২টি সংশোধন করা হয়েছে। শতকরা হিসাবে ৭৪.৪ শতাংশ বিদ্যুতিক, ৫০.৫ শতাংশ অগ্নি এবং ৩৬.৮ শতাংশ কাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

রব ওয়েজ বলেন, সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনায় ৭টি কারখানায় ক্যাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫৭টি নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী কাজ করছে। আর বাকি ১ হাজার ৩৮৮টি নির্ধারিত সময়সীমার চেয়ে পিছিয়ে আছে।

পাশাপাশি কারিগরি সহায়তার অংশ হিসেবে একর্ড ১০০ জন প্রাতিষ্ঠানিক ইঞ্জিনিয়ার দিয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৪৫২টি ফলোআপ পরিদর্শন, ১ হাজার ৩৯১টি টেকনিক্যাল ডিজাইন পর্যলোচনা এবং ৯২২টি ডিইএ পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে নিরাপদ করতে পোশাক ব্রান্ড, রিটেইলার, দু’টি গ্লোবাল ইউনিয়ন ও তাদের সঙ্গে তৈরী পোশাক শিল্পের সংশ্লিষ্ট সহযোগীদের নিয়ে ২০১৩ সালের ১৫ মে একটি চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির অংশ হিসেবেই একর্ড বাংলাদেশের ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ শুরু করে। এ চুক্তিতে ২১০টির বেশি কোম্পানি সই করে এবং প্রায় ১ হাজার ৬০০টি কারখানা চুক্তির আওতায় আসে।