English Version
আপডেট : ১৪ মে, ২০১৬ ১৬:৫১

বাংলাদেশের তিন ব্যাংকের তথ্য চুরি করেছে তুরস্কের হ্যাকাররা

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের তিন ব্যাংকের তথ্য চুরি করেছে তুরস্কের হ্যাকাররা

তুরস্কের হ্যাকাররা বাংলাদেশের ডাচ-বাংলা, দ্যা সিটি ও ট্রাস্ট ব্যাংকের তথ্য চুরি করেছে এমন খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি  ওয়েবসাইট ডেটাব্রিচ টুডে। একইসঙ্গে নেপালের কাঠমাণ্ডুভিত্তিক বিজনেস ইউনিভার্সাল ডেভেলপমেন্ট ও সানিমা ব্যাংকের তথ্য চুরির কথাও প্রচার হয়েছে এই সাইটে।

ডেটাব্রিচ টুডের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বোজকার্টলার’ নামের তুরস্কের একটি হ্যাকার গ্রুপ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি ব্যাংকের ডেটা চুরি করেছে। সব ডেটাই তারা অনলাইনে প্রকাশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

‘ডেটাব্রিচটুডে’ বলছে, চুরি হওয়া ডাটার মধ্যে সিটি ব্যাংকের ১১.২ মেগাবাইট, ডাচ-বাংলার ৩১২ কিলোবাইট ও ট্রাস্ট ব্যাংকের ৯৫ কিলোবাইট আকারের ফাইল রয়েছে। এছাড়া নেপালের বিজনেস ইউনিভার্সাল ডেভেলপমেন্ট ও সানিমা ব্যাংকের চুরি হওয়া ডাটার আকার যথাক্রমে ২৫১ ও ৪৭ মেগাবাইট।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩১২ কেবি আর্কাইভে গ্রাহকের ব্যাংকিং লেনদেনের রেকর্ড রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ডেটা থেকে অ্যাডমিনের সত্যায়নকারী গোপন তথ্য (আইডি, পাসওয়ার্ড) হ্যাকাররা পেয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসসব ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড খুবই সহজ বা ডিফল্ট। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ঝুঁকির উপাদান রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ইন্টারনেট সার্ভার বা ফাইলে অনুপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

ডেটাব্রিচটুডে জানিয়েছে, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৯৬ কেবি ডেটার মধ্যে দুটি স্প্রেডশিট রয়েছে, যেগুলোতে ইউজার আইডি, ইমেইল ঠিকানা, ইউজার নেইম ও এনক্রিপটেড পাসওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক তথ্য ২০১৫ সালের জুন মাসের।

দ্য সিটি ব্যাংকের ১১.২ এমবি ডেটার একটি স্প্রেডশিট রয়েছে, যাতে লাখো গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে ডেটাব্রিচটুডে। এর মধ্যে গ্রাহকের পরিচয় ও ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। তাদের সর্বশেষ সাম্প্রতিক তথ্য ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়ও সম্প্রতি সিটি ব্যাংকসহ ঢাকায় চারটি ব্যাংকের এটিএম বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা জানাজানি হলে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।