English Version
আপডেট : ৬ মে, ২০১৬ ১৬:৩০

রফতানি আয় বেড়েছে

অনলাইন ডেস্ক
রফতানি আয় বেড়েছে

চলতি অর্থবছরের রফতানি আয় প্রথম দিকে মন্দা থাকলে পরে তা ঘুরে দ্বাড়িয়েছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি করেছে বাংলাদেশ।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একক মাস হিসাবে এপ্রিলে রফতানি আয় ডাবল ডিজিটে পৌঁছেছে। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এপ্রিল মাসে ১১.৮২ শতাংশ বেশি রফতানি আয় হয়েছে।

ইপিবি প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৯.২২ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১.৯৫ শতাংশ বেশি।

হিসেব অনুসারে, অর্থ বছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার সম পরিমাণ অর্থ। এসময়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সেদিক থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫২ কোটি ৮২ লাখ ডলার বেশি রফতানি আয় হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইপিবির সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিষ বসু বলেন, দেশের বাইরে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। ধারাবাহিক রয়তানি প্রবৃদ্ধি তার প্রমাণ।

ইপিবির সর্বশেষ হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে এপ্রিলে ২৩৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রফতানি আয় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি। এপ্রিলে ২৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার লক্ষ্যেমাত্রার বিপরীতে এ আয় হয়েছে ২৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার । এসময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোষাকে রফতানি আয়ে ভাল প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ খাত থেকে মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮২ ভাগ এসেছে। এসময়ে নিট পোশাক খাতে এসেছে ১ হাজার ৭৩ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। আর ওভেন পোশাক খাতে রফতানি আয় এসেছে ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। সুতরাং, ছয় মাসে নিট খাতে ৭.২৯ শতাংশ এবং ওভেন খাতে ১২.৭১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।