English Version
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:৫১

দেশে বৈধভাবে সোনা আসেনি

অনলাইন ডেস্ক
দেশে বৈধভাবে সোনা আসেনি

গত ১০ বছরে বাংলাদেশে বৈধভাবে কোনো সোনা আসেনি বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) মাইনুল খান।

বুধবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যালয়ে অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রাক-বাজেট আলোচনায় সোনা আমদানিতে শুল্ক হার কমানোর বিষয়ে এক রাজস্ব কর্মকর্তার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে সোনা আমদানির অনুমতি চেয়ে একটি আবেদনও করা হয়নি। অর্থাৎ এ সময়ে বাংলাদেশে বৈধভাবে কোনো সোনা আসেনি। সবই আনা হয়েছে চোরাই পথে। বৈধভাবে সোনা আনার সুযোগ থাকার পরও অবৈধভাবে আনা হচ্ছে।

সুতরাং কর কমানো হলেও অবৈধভাবে সোনা আনা বন্ধ হবে না বলে মত প্রকাশ করেন মাইনুল খান।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক আরও বলেন, ভরিতে ৩ হাজার টাকা হারে কর দিয়ে যে কেউ বিদেশ থেকে ২০০ গ্রাম বা সাড়ে ১৭ ভরি সোনা দেশে আনতে পারবেন। এছাড়া অলঙ্কার বা সোনার ব্যবসা করা যে কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে যে কোনো পরিমাণ সোনা বৈধভাবে আনতে পারেন।

একই বিষয়ে মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সোনা চোরাচালানে কালো টাকা ব্যবহার করা হয়। তাই সোনা আনতে শুল্ক শূন্য করে দিলেও তারা বৈধভাবে না এনে চোরাচালানের মাধ্যমে আনবে।

আলোচনায় এনবিআরের কর্মকর্তারা রাজস্ব আদায় বাড়াতে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে— ঢাকা শহরে একাধিক ফ্লাটের মালিকদের ওপর কর বাড়ানো, গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে বিশেষ নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা চালু, তামাক উৎপাদনে ভ্যাট আরোপ, সরকারি কর্মকর্তাদের শুধু বেতনের ওপর কর আরোপ না করে বেসরকারি চাকরিজীবীদের মতো কর আরোপ, মোবাইল ফোন-ব্যবহারকারীর বিলের ওপর ৩ শতাংশ হারে আয়কর আরোপ, বোনাস শেয়ারের অভিহিত মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ করারোপ, ক্যাবল টিভি অপারেটর, রেডিও চ্যানেল, স্যাটেলাইট টিভি স্টেশন ও টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন পর্যায়ে উৎসে আয়কর আদায়, মাসিক বিদ্যুৎ বিল ২৫ হাজার টাকার উপরে হলে ৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের ব্যবস্থা ইত্যাদি।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।